প্রতিদিন কেমো নিয়ে শরীর ঝিমঝিম করে, ‘স্বেচ্ছাশ্রম’ নয়, মমতার কাছে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আবেদন করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক
ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন, চাকরিহারা শিক্ষিকার আশঙ্কা, ‘রাজনীতির গভীর জালে ফেঁসে যাচ্ছি না তো!’
হার্ডডিস্কের মধ্যেই লুকিয়ে আসল ‘প্রাণ ভ্রমরা’? বারবার বলছেন অভিজিৎ
কেন ‘হাইপাওয়ার’ কমিটি গড়েছিলেন পার্থ? নিয়োগ দুর্নীতিতে ভূমিকা কী?
একসময় ওনাকে অনেক সাহায্য করেছিলাম’, ইউনূসে ‘আক্ষেপ’ হাসিনার, ‘আত্মবিশ্বাসী’ হয়ে দিলেন ‘ফেরার’ বার্তা
সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিলেন না? যদি আজ মহামান্য আদালতের সামনে রাজ্য সরকার পৃথকীকরণ করে দিতেন, তাহলে আজ ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে যেত না।"
'রাম নবমীর পরই...', হুঁশিয়ারি সুকান্তর, চাকরিহারাদের কী করতে হবে, বলে দিলেন বিকাশ
কী বললেন সুকান্ত মজুমদার ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য?
২৬ হাজার চাকরি বাতিল। সুপ্রিম কোর্টের বড় রায় এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্য়ানেল বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর জেরেই ২৫ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের প্রতিক্রিয়া দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে গেল, যারা ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করছেন, পরিবার রয়েছে। আজকে যোগ্য যারা, পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের চাকরি চলে গেল। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির লোকেরা অযোগ্য, যারা পয়সা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল, তাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরির বলিদান দিয়ে দিল। এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে ২৬ হাজার পরিবার রাস্তায় বসে গেল, তার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার চ্যালাচামুন্ডা, যারা লাখ লাখ টাকা নিয়ে কয়েকজন অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছিল।”
সরকারকে প্রশ্ন ছুড়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিলেন না? যদি আজ মহামান্য আদালতের সামনে রাজ্য সরকার পৃথকীকরণ করে দিতেন, তাহলে আজ ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে যেত না। শুধুমাত্র অযোগ্যদের চাকরি চলে যেত, যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকত।”
রাজ্যকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের দুষ্কৃতী, জোচ্চোরদের জন্য এতগুলি পরিবার আজ রাস্তায় বসল। আমরা ছেড়ে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে উৎখাত করব। বলে দিচ্ছি, রাম নবমী পার হয়ে গেলেই ভারতীয় জনতা পার্টি পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে পথে নামবে।”
অন্যদিকে, আইনজীবী তথা প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে থাকলে তো ভবিষ্যৎ নেই। ফ্রেশ সিলেকশন প্রসেসে বসতে হবে, নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে হবে। এই জন্যই তো আমরা বলি, দুর্নীতিমূলক কোনও প্রক্রিয়ার সঙ্গে আপস করতে নেই। এদের উচিত রাজ্য সরকারের ঘাড় ভাঙা, বলা উচিত, তোমাদের জন্য আজ আমাদের এই অবস্থা। গোটা দেশ জেনে গেল , এত বড় একটা দুর্নীতি হয়েছে। এই মামলার পিছনে কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে, তাও বিবেচ্য হওয়া উচিত।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours