ট্রাম্প কার্ডে’ বাংলাদেশ ভাতে মরলেও পাতে মরবে কি ভারত?
ক্রিমিনাল কেস করলেই ওরা সব বলে দেবে: জহর সরকার
ওয়াকফের আঁচ! পার্ক সার্কাসে পথে নামল হাজার-হাজার মুসলিম
কারও নাম ‘স্কোয়ারফুট’, কারও নাম ‘তোলা’! তৃণমূল আমলে নেতাদের রমরমা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে জহর সরকারের
২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পরেরদিনই আচমকা বৈঠকে ৩ ‘হেভিওয়েট’
ভারতের উপর ২৬ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। যদিও সেই শুল্কের মধ্যে পড়নি ভারতের ফার্মা সংস্থাগুলো। এমনকি হিসাব করে দেখা গিয়েছে তার প্রভাব পড়বে না ভারতের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরেও। আর বস্ত্রবয়ন শিল্পে তো বাংলাদেশের ভাত মারতে চলেছে ভারত।
'ট্রাম্প কার্ডে' বাংলাদেশ ভাতে মরলেও পাতে মরবে কি ভারত?
এপ্রিলের ২ তারিখ একাধিক দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত থেকে আমদানির উপর ২৬ শতাংশ কর বসাতে চলেছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে এমনটাই।
ভারতের উপর কর বসালেও ভারত থেকে আমদানিকৃত ওষুধের উপর কোনও প্রকার কর বসায়নি আমেরিকা, জানা গিয়েছে এমনটাই। আর তারপর চড়চড়িয়ে বেড়েছে ভারতের একাধিক ফার্মা সংস্থার শেয়ারের দাম। কিন্তু ভারতের ফার্মা সংস্থা ছাড় পেলেও ট্রাম্পের এই কর ব্যবস্থার আওতাও পড়তে চলেছে দেশের অন্যান্য সেক্টর। ওষুধ ছাড়া ভারত থেকে আমেরিকায় তথ্য প্রযুক্তি সার্ভিস ও জামাকাপড় রফতানি করা হয়। সেখানে কতটা চাপে ভারত?
আমেরিকার বহুজাতিক ব্যাঙ্ক ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা জেফেরিস বলছে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের সরাসরি কোনও আঁচ পড়বে না। কিন্তু, আমেরিকার জিডিপি বৃদ্ধি ধীরে ধীরে কমছে। ট্রাম্পের এই শুল্কের কারণে তা আরও কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে। আর জিডিপির ধীর বৃদ্ধির কারণে সে দেশের চাহিদা কমবে। সে দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র, লজিস্টিক্সের ক্ষেত্র ও খুচরো ব্যবসায়ে প্রয়োজনীয় যে কাজ, অনেক ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা সেই কাজ করে। ওই সংস্থাগুলোর ব্যবসা মার খেতে পারে। তবে আমেরিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, হাই-টেক, ইউটিলিটিস ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর অনেক কাজ ভারতীয় আইটি সেক্টরে হয়। এই ধরণের সংস্থাগুলোর উপর কোনও প্রভাবই পড়বে না এই পারস্পরিক শুল্কের।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই শুল্কের কারণে বেশ লাভবান হবে ভারতীয় বস্ত্রবয়ন শিল্প। আমেরিকায় বিক্রি হওয়া জামাকাপড়ের মধ্যে বেশিরভাগটাই তারা আমদানি করে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের উপর আমেরিকা ৩৭ শতাংশ কর বসিয়েছে। ভিয়েতনামের উপর সেই করের পরিমাণ ৪৬ শতাংশ। আর সেদিক থেকে দেখলে ভারতের উপর এই কর ২৬ শতাংশ। ফলে কর বাঁচাতে আমেরিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশ বা ভিয়েতনামের বদলে ভারত থেকে জামাকাপড় আমদানি করবে। আর এতে আখেরে লাভ হবে ভারতেরই।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে।
বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours