বাবা তৈরি হচ্ছিলেন রাম-নবমীর শোভাযাত্রায় বেরবেন, আর তখনই কোলের ছেলেটাকে পিষে দিল গাড়ি
ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনায় তোলপাড় টলিউড, রাত থেকে কী কী ঘটে, খোলসা করলেন আরিয়ান
গেরুয়া ধ্বজা উড়ছে ‘লাল’ যাদবপুরে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই ক্যাম্পাসে চলছে রামের পুজো
সংখ্যালঘু ‘ভূমিপুত্রে’ ভরসা বামেদের! সীতারামের উত্তরসূরি কে এই আলেকজান্ডার?
ভেনেজুয়েলা নিয়ে কাঁদে, বাংলাদেশ নিয়ে নয় কেন? জ্যোতি-বুদ্ধের সমালোচনা করে বোঝালেন প্রফেশন সুকান্ত
হুড়মুড়িয়ে পড়েছে একাধিক সরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম। এর মধ্যে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক উল্লেখযোগ্য। কিন্তু কী কারণে পড়ল এই দুই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম?
ক্রমাগত নামছিল, এবার এক ধাক্কায় মাটিতে আছড়ে পড়ল এই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ার...
২ এপ্রিল দিন শেষে নিফটি ও সেনসেক্সের ব্যাঙ্কের সূচক বেশ কিছুটা করে উঠলেও কতগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম পড়েছে হুড়মুড়িয়ে। এর মধ্যে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। কারণ, ২ এপ্রিল পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম পড়েছে ১২.৪৮ শতাংশ। যা এই দিনের সর্বোচ্চ। আর ঠিক তার পরেই রয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম পড়েছে ১০.৭৭ শতাংশ। এ ছাড়াও পড়েছে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম। তবে ভাল খবর এটাও যে অনেকটা পড়ার পর ওভারসিজ ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম আবার কিছুটা হলেও রিকভার করেছে।
কিন্ত কী এমন হল যে একেবারে মাটিতে আছড়ে পড়ল এই দুই ব্যাংকের শেয়ারের দাম? আসলে কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্টের পর একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ারের দামে এমন পতন দেখা গিয়েছে। কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্ট হল এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থাগুলো বাজারের ‘উপরতলার’ বিনিয়োগকারী বা কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল বায়ারদের ইক্যুইটি বা শেয়ার ইস্যু করে। কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্টের ফলে কোনও সংস্থার শেয়ারের দামে পতন দেখা যাওয়ার অর্থ হল কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল বায়াররা সেই শেয়ারের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রদেয় ঋণের মান, আগামীতে ওই ব্যাঙ্ক কত টাকা আয় করবে তা এবং ব্যাঙ্কের হাতে থাকা অ্যাসেট নিয়ে এমনিই বেশ কিছু উদ্বেগের জায়গা রয়েছে। আর তার মধ্যেই বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের পুনর্মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা করেছেন এবং বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রেলিগেয়ার ব্রোকিংয়ের রিসার্চ হেড অজিত মিশ্র বলছেন, লগ্নিকারীরা এখন বাজারের সেরা ব্যাঙ্কগুলোর দিকে মন দিচ্ছে। যারা ঋণ ও জমার হিসাবের গরমিলের মতো চ্যালেঞ্জের সহজে মোকাবিলা করতে পারে। আর সরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ভোডাফোনের মতো সংস্থাকে ঋণ দেওয়া ও তাদের ইক্যুইটি অধিগ্রহণের মতো বিষয়গুলো শেয়ারের দামে প্রভাব ফেলছে। আর সেই কারণেই বিনিয়োগকারীরা ওই ব্যাঙ্কগুলো থেকে তাদের লগ্নি সরিয়ে নিচ্ছেন।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours