একসময় ছিল না মাথা গোঁজার ছাদ, সেই মনোজই এখন প্রতিমাসে কিনতে পারেন দু-দুটো বাড়ি! কীভাবে পাল্টাল জীবন?
ঠিক কত বাড়ি ভেঙেছে মুর্শিদাবাদ, সামনে এল সংখ্যাটা
জানালা দিয়ে ঢুকে ব্লেড দিয়ে কাপড় কেটে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
ক্ষতি হবে ১৩ হাজার কোটির! এবার ‘সন্ত্রাসে মদত জোগানোর’ ঠেলা বুঝবে পাকিস্তান, মোক্ষম জবাব ভারতের
এবার জম্মু-কাশ্মীরে সেনা নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাক করল পাকিস্তানের হ্যাকাররা
জানা যাচ্ছে, সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান থেকে মালদার বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জন (অসমর্থিত সূত্র)। যদিও প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলেছেন, এই সংখ্যাটা প্রায় ১৭০-এর কাছাকাছি।
ট্যাঙ্কের জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে গো...কিচ্ছু খেতে পাইনি', মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহে পালিয়ে আসছেন শ'য়ে-শ'য়ে মানুষ
মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহে পালিয়ে আসছেন
জলে নাকি মিশিয়ে দেওয়ার হচ্ছে বিষ। আতঙ্কে এক কাপড়ে ঘরছাড়া ধুলিয়ানের অসংখ্য পরিবার। মালদহের স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান থেকে মালদার বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জন (অসমর্থিত সূত্র)। যদিও প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলেছেন, এই সংখ্যাটা প্রায় ১৭০-এর কাছাকাছি। গৃহহীনদের দাবি, তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জলে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ ও পুলিশের সহযোগিতায় কোনও রকমে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন তাঁরা।
এক মহিলা বলেন, “আমরা খুব দুঃখের মধ্যে এসেছি এখানে। আমাদের বাড়ি নেই, ঘর নেই। সংসারের যা জিনিস ছিল সব আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। পেট্রোল লাগিয়ে দিয়েছে। বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। জলের ট্যাঙ্কে বিষ দিয়ে দিয়েছে গো। আমরা কী খাব ? কী করেই বা থাকব। কাল বিকালে এসেছি। আমাদের এখান থেকে নৌকা পাঠিয়েছিল। পুলিশে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছে।” অপর এক মহিলা বলেন, “ট্যাঙ্ক ভেঙে দিয়েছে। জলও খেতে দেয় না। সকাল থেকে তিনটে বাচ্চা না খেয়ে আছে। পরিবারের সবাই আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের ওখানে যত বাড়ি ছিল সব পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বিএসএফ থাকতেই পালিয়ে এসেছি।”
পঙ্কজ তামাং, SDO মালদহ (সদর) বলেন, “যাঁরা এসেছেন তাঁদের আমরা কালকে থেকেই থাকার ব্যবস্থা করেছি। ওদের সমস্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এছাড়াও পরনের বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। পিএইচই-র জল দেওয়া হচ্ছে। আমার যা মনে হচ্ছে ১৭০ জন এসেছেন। কয়েকজন পরিবারের লোকজনের কাছে চলে গিয়েছে। আর মানুষ আসবেন বলে জানতে পারছি। তবে যেটা খুবই ভাল, স্থানীয় মানুষজনও আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours