ট্রাম্প এই শুল্কের খাড়া নামাতেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, শেয়ার বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। গতকালই ধস নেমেছিল মার্কিন শেয়ার বাজারে। ন্যাসডাকের সূচকেও পতন হয়েছিল।


শেয়ার বাজারের রক্ত ঝরাল ট্রাম্প, ৩.২৭ লক্ষ কোটি টাকা জলে চলে গেল চোখের পলকে
শেয়ার বাজারে ধস।

আশঙ্কা আগেই ছিল। সত্যি হল তাই। ট্রাম্পের ট্যারিফ ঘোষণা হতেই ধস নামল শেয়ার বাজারে। ভারতের উপরে ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর সেই ট্যারিফ ঘোষণার পরই আজ, বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার খুলতেই ধস নামল। এক ধাক্কায় ৫০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। ডলারের সাপেক্ষে দাম কমে গিয়েছে টাকারও।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বার বসার পরই রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণা মতোই ২ এপ্রিল, বিভিন্ন দেশের উপরে ট্যারিফ বা আমদানি শুল্ক বসান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাদ পড়েনি ভারতও। বরাবরই ভারত অতিরিক্ত বেশি শুল্ক নেয় বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। তবুও ভারতের নেওয়া শুল্কের তুলনায় কিছুটা ছাড় দিয়ে তিনি ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছেন।

ট্রাম্প এই শুল্কের খাড়া নামাতেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, শেয়ার বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। গতকালই ধস নেমেছিল মার্কিন শেয়ার বাজারে। ন্যাসডাকের সূচকেও পতন হয়েছিল। আজ সকালে ভারতের শেয়ার বাজার খুলতেই সেনসেক্স সূচকে ৫০০ পয়েন্ট পতন হয়। নিফটি অটো-র সূচকে ১.২৫ শতাংশ এবং নিফটি আইটি-র সূচকে ১.৬৭ শতাংশ পতন হয়েছে। নিফটি মেটালেও ০.৮১ শতাংশ পতন হয়েছে। তবে ইতিবাচক রয়েছে ফার্মা সেক্টর। ২.৯৫ শতাংশ লাভ হয়েছে গতকালের তুলনায়।


টিসিএস এবং ইনফোসিসের শেয়ারের দাম ২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। এইচসিএল টেক এবং টেক মাহিন্দ্রার শেয়ারের দাম ২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। অন্যদিকে, টাটা মোটরস এবং আদানি পোর্টের শেয়ারও এক শতাংশেরও বেশি কমেছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ভারত অ্যাসিটেলের শেয়ারের দাম প্রায় এক শতাংশ কমেছে।

যতটা ভয়ঙ্কর ধস নামার আশঙ্কা করা হয়েছিল, আজ ততটা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি বিনিয়োগকারীদের। আপাতত শেয়ার বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। সকালে সেনসেক্স-নিফটিতে ধস নামলেও, বর্তমানে তা অনেকটাই সামলে উঠেছে। তবে বাজার বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত কী অবস্থা থাকে, তা-ই দেখার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours