এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, 'মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন।


 'একসময় ওনাকে অনেক সাহায্য করেছিলাম', ইউনূসে 'আক্ষেপ' হাসিনার, 'আত্মবিশ্বাসী' হয়ে দিলেন 'ফেরার' বার্তা
প্রতীকী ছবি


 সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশছাড়ার পর থেকেই ‘আত্মগোপন’ করেছেন তিনি। তবে খবর রেখেছেন নিজের দলীয় কর্মীদের। প্রতিবারের মতো এবারেও হাসিনার ভাষণে ফুটে উঠল ‘আত্মবিশ্বাস’। আলোচনার এক পর্বে তিনি জানালেন, ‘চিন্তা করবেন না। খুব শীঘ্রই ফিরছি আমি।’

এরপরই তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’

এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’


উল্লেখ্য, এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে নিজের বক্তব্যগুলি রাখার পাশাপাশি শহিদ দলীয় কর্মীদের পরিবার-পরিজনদের আকুতিও শোনেন হাসিনা। আলোচনার এক পর্যায়ে তাদের উদ্দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ হয়তো আমায় কোনও মহৎ কাজ করার জন্যই এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন। আপনারা চিন্তা করবেন না। খুব শীঘ্রই আমি আসছি।’


পাশাপাশি, এই ভার্চুয়াল সভায় আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours