এ ক্ষেত্রে, চয়নকে পাকড়াও করতেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশের দাবি, গত বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর ধৃত ব্যক্তি রাস্তার উপরে নিজে হাতে গ্রাফিটি করেছিলেন।


দেশবিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগ, গ্রেফতার রাত দখলের অভিযানে যাওয়া আন্দোলনকারী, বিশেষ এই পদ্ধতির ব্যবহারেই পুলিশের জালে অভিযুক্ত
এই গ্রাফিটি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ


 তিলোত্তমা-কাণ্ডের প্রতিবাদে তখন উত্তাল হচ্ছিল গোটা রাজ্য। ‘রাত দখলের’ অভিযানে নামে গোটা রাজ্য। কলকাতার একাধিক জায়গার মতো যাদবপুরেও বহু মানুষ আন্দোলনে নেমেছিলেন। রাত দখলের সেই অভিযানে এবার দেশবিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগে গ্রেফতার এক আন্দোলনকারী। নাম চয়ন সেন।


গত ৮ই সেপ্টেম্বর যাদবপুর ৮বি-তে দেশবিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতিতে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। বুধবার থানায় তলব করা হয়েছিল চয়নকে। এরপর দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় তাঁকে। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়। ধৃত চয়নের সঙ্গে নকশালপন্থী আন্দোলনের যোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতি কী?


এই পদ্ধতির সাহায্য়ে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল টাওয়ারের অধীনস্থ এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কোন কোন মোবাইলের নম্বরে ফোন গিয়েছে বা এসেছে, তা চিহ্নিত করা হয়। এরপর প্রত্যেকটি নম্বরের সূত্র ধরে তাঁদের কথাবার্তা ট্রেস করা হয়। অর্থাৎ কার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, কতক্ষণ কথা, যে ফোন করেছে তাঁর পরিচয় কী, কাকেই বা ফোন করা হয়েছে,সবটা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এই ফোন নম্বরের মাধ্যমে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করাকেই টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতি বলে।

এ ক্ষেত্রে, চয়নকে পাকড়াও করতেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশের দাবি, গত বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর ধৃত ব্যক্তি রাস্তার উপরে নিজে হাতে গ্রাফিটি করেছিলেন। পুলিশের দাবি, সেটি দেশ বিরোধী স্লোগান ছিল। সেই কারণে পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়। এরপর গতকাল তদন্তকারীরা চয়ন সেনকে যাদবপুর থানায় তলব করে। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours