প্রথমে কথা কাটাকাটি। তারপর আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার। এমনকি, তার বৃদ্ধ মাকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় সেই কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠরা, অভিযোগ আইনজীবীর।

প্রতিবাদ করায় আইনজীবী শুভেন্দুকে মার, পুড়িয়ে মারার হুমকি! কাঠগড়ায় TMC কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠরা
আহত আইনজীবী

ক্ষমতার আস্ফালন? স্থানীয় কাউন্সিলরের লোক বলে প্রতিবাদকেও ভাঙতে পারে তারা? গায়ে হাত তুলতে পারে যে কারওর? এদিনের ঘটনা ঘিরে আপাতত উঠছে এমন প্রশ্নই। প্রতিবাদ করায় আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে মার শাসকদলের কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীর।


ঘটনা বরানগরের। দোলের দিনের পড়ন্ত বিকেলে নিজের মাকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী শুভেন্দু মিত্র। সেই সময়েই মাঝরাস্তায় যুযুধান হয়ে পড়েছিল দুই গোষ্ঠী। বচসা, হাতাহাতি ঘিরে একেবারে উত্তেজনা পরিস্থিতি। নিজেদের মধ্যেই মারপিট করছিল দুই গোষ্ঠী।

তখন তাদের দেখে নিজে থেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খোলা রাস্তায় বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগে প্রতিবাদ করেন তিনি। আর তাতেই বিপত্তি। দুই গোষ্ঠীর মাঝে ‘নাক গলানোর’ অভিযোগ তুলে আইনজীবীর বিরুদ্ধে চড়াও হয় স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাসকদলের কাউন্সিলর শম্পা কুণ্ডু ঘনিষ্ঠ এক গোষ্ঠী।


প্রথমে কথা কাটাকাটি। তারপর আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার। এমনকি, তার বৃদ্ধ মাকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় সেই কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠরা, অভিযোগ আইনজীবীর। এদিন তিনি বলেন, ‘সেদিন কিছু আদি তৃণমূল সদস্যদের ধরে মারধর করছিল, অন্য গোষ্ঠী। সেই সময় আমি বাইক নিয়ে সেখান থেকে যাচ্ছিলাম। ওদের ওই রকম অবস্থায় দেখে দাঁড়িয়ে বলি যে আজকে একটা ভাল দিন, এই সময় নিজেদের মধ্য়ে মারামারি করিস না। আর এই কথা বলতেই, নব্য তৃণমূলের সদস্য়গুলো আমার গায়ে হাত তুলল, বেধড়ক মারধর করল।’

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সাত অভিযুক্তের নামে থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগও। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন খোদ কাউন্সিলর। এই প্রসঙ্গে বরানগরের ওই শাসকদলের কাউন্সিলরকে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান, ‘প্রশাসন গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে’। তবে ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours