শরিক আমান নামে আক্রান্ত ওই যুবক তৃণমূলের হকার ইউনিয়নের নেতা বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েশা নাজের স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঠিক কী ‘দোষ’ করেছিলেন শরিক?


TMC নেতার উপর পর পর চপারের কোপ, রণক্ষেত্রে বউবাজার, কাঠগড়ায় দলেরই কাউন্সিলরের স্বামী
কী বলছেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা?


ভোটের উত্তাপ্ত যত বাড়ছে ততই যেন কোন্দল কাঁটায় অস্বস্তি বেড়েই চলছে রাজ্যের শাসকদলের। ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে একেবারে কলকাতার বুকে। কাউন্সিলরের স্বামীর কোপে তৃণমূলেরই নেতা। বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করাতেই এই অবস্থা বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধরের পর চপার দিয়ে কোপানোও হয়েছে বলে অভিযোগ। রেহাই পেল না তৃণমূল নেতার সঙ্গে থাকা ছেলেরাও। ঘটনা বউবাজারের কলুটোলার। 


শরিক আমান নামে আক্রান্ত ওই যুবক তৃণমূলের হকার ইউনিয়নের নেতা বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েশা নাজের স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঠিক কী ‘দোষ’ করেছিলেন শরিক? সূত্রের খবর, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বেআইন কার্যকলাপ নিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছিলে শরিক। তা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। ভিডিয়ো পোস্ট করার পর থেকেই তিনি একাধিকবার হুমকি ফোন পাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের হকার ইউনিয়নের ওই নেতা। 

অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যাবেলা কাউন্সিলরের স্বামী তাঁদের অনুগামী নিয়ে শরিকের উপর চড়াও হন। রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের পর চপার দিয়ে কোপানো হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায় এলাকায়। শরিক বলেছেন, “ওরা প্ল্যান করে এসেছিল। ছাদে তুলে আমাকে নিজে ফেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাবা বলেন, “ফোনে করে ওই ভিডিও ডিলিট করার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বলছিল ডিলিট না করলে ফল ভাল হবে না।”


অন্যদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরের স্বামী ইরফান আলির দাবি, “ও একটা কিডন্যাপিং কেসের অভিযুক্ত। পাড়ায় অশান্তি করছিল। পাড়ার লোকই ওকে পাকড়াও করেছিল। আমার তো শরীর খারাপ বলে বাড়ি গিয়েছিলাম। যখনই শুনি এরকম ঘটনা ঘটেছে আমি থানায় ফোন করে জানাই। ওনাদের আসতে বলি।” ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে তল্লাশি শুরু করেছে বউবাজার থানার পুলিশ। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours