ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবন এলাকায় নদীপথ প্রশস্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। এই পুরো এলাকাতেই বোটের মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বৈঠক হয়।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এল সুন্দরবন নিয়ে বিশেষ বার্তা, বড়সড় পদক্ষেপ BSF-এর
সুন্দরবনে বড় পদক্ষেপ বিএসএফের

বাংলাদেশের অস্থিরতার সুযোগে সুন্দরবনের জলপথ দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা? উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সুন্দরবনের নদীপথ সীমান্ত। বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়েই তৎপর ডিজি। দিলেন বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ।


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবন এলাকায় নদীপথ প্রশস্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার। এই পুরো এলাকাতেই বোটের মাধ্যমে নজরদারি চালায় বিএসএফ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বৈঠক হয়। যে বৈঠকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়, মালদহ, মুর্শিদাবাদের স্থলসীমান্ত নয়, সুন্দরবনের পথকেই ব্যবহার করা হবে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই। অনুপ্রবেশকারীই হোক, কিংবা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কেউ, এই জলপথ ব্যবহার করতে পারে।

সেই বার্তা পেয়েই ভারতীয় সীমান্তরশ্রী বাহিনীর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী পৌঁছে যান সুন্দরবনে। হিঙ্গলগঞ্জ-সহ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একাধিক দফতরে বৈঠক করেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনওভাবেই সুন্দরবনের জলসীমান্তকে অরক্ষিত, খালি রাখা যাবে না। মালদহ, মুর্শিদাবাদের দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশের কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করে জানান, প্রয়োজনে অন্য জায়গা থেকেও বাড়তি বাহিনী এনে সুন্দরবনে মোতায়েন করা হবে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বসানো অত্যাধুনিক বোটেরও ব্যবস্থা করতে হবে।


প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সমীর মিত্র বলেন, “ইন্দো বাংলাদেশ বর্ডার, প্রথম বিএসএফ বিওপি রয়েছে সামসেরনগরে। বিএসএফ কর্তা উৎসাহী, যেভাবে তিনি চালাচ্ছেন, তাঁর মতামত মান্যতা দিই, তাহলে সত্যিই খুব ভাল কাজ হচ্ছে। ৯০ কিলোমিটার একটা স্ট্রেচ রয়েছে, যেটা নদীতে এসে মিসছে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেখানে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। এককালে সেখান থেকে ঢোকা খুব সহজ ছিল। এখন সেখানে ৭টা জাহাজ রয়েছে। ”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours