বয়স বড়জোর পঁচিশ হবে! মদ্যপ অবস্থায় সাইলেন্সারবিহীন বাইক চালাচ্ছিলেন। পুলিশ ধরতে যুবকের সাফাই, "ওঁরা বলছেন, আমরা নাকি কাউকে ফেলে দিয়েছি। কাউকে ফেলিনি তো। হাল্কা ড্রিঙ্ক অবশ্যই করেছি।"


চার-পাঁচটা বিয়ার তো খাবই, এনজয় তো করবই, লিমিটেই রয়েছি...', ছেলেটার 'স্মার্ট' যুক্তি শুনতেই পুলিশ যা করল...
আটক দুই যুবক


শুনলে চমকে উঠবেন মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আজব যুক্তি যুবকের। কী স্মার্ট তাঁর অ্যাপ্রোচ, যেন কিছুই হয়নি, ঠোঁট উল্টে চোখ পাকিয়ে যে ভঙ্গিতে কথা বললেন, হাঁ করে শুনবেন আপনিও।


বয়স বড়জোর পঁচিশ হবে! মদ্যপ অবস্থায় সাইলেন্সারবিহীন বাইক চালাচ্ছিলেন। পুলিশ ধরতে যুবকের সাফাই, “ওঁরা বলছেন, আমরা নাকি কাউকে ফেলে দিয়েছি। কাউকে ফেলিনি তো। হাল্কা ড্রিঙ্ক অবশ্যই করেছি। হোলি আজকে, একটা দুটো বিয়ার তো খেতেই পারি। চারটে পাঁচটা বিয়ার তো খাবই। তারপর তো আমরা বাড়িতে যাচ্ছি। ওখানে বসন্ত উৎসব হচ্ছে। ওখানে গিয়ে এনজয় করব।”

সাইলেন্সারবিহীন বাইক চালাচ্ছিলেন কেন? উত্তরে সাফ বললেন, “বাইক সার্ভিন্সিংয়ে দিয়েছিলাম। ওরা সাইলেন্সারের পাইপ খুেলে রেখেছে। আজকে বাইক দিতেও চাইছিলেন না। কী করব, পায়ে হেঁটে তো যাব না। ২৩ কিলোমিটার হাঁটা সম্ভব নয়।”

তাঁর পাশেই আরেক যুবক। তিনি তো আবার ঠোঁট উল্টে বললেন, “নেশা লিমিটে রয়েছে। হবিবপুরের পুলিশ আগে থেকে সাইলেন্সারের পাইপ খুলে দিয়েছে। কী করতে পারি!”


হোলির দিনে মদ্যপ অবস্থায় দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর অভিযোগে শান্তিপুর ট্রাফিক ওসি দীপক শিকদারের নেতৃত্বে পুলিশ একটি বাইক আটক করে। এই দুই যুবকের মধ্যে একজন বাইক চালাচ্ছিলেন, আরেক জন ছিলেন পিছনে বসে। দু’জনেই ছিলেন মদ্যপ। তাঁদেরই এহেন বক্তব্য।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours