এই বার নিয়ে মোট ১০৩ বার সাপের কামড় খেয়ে যাই যাই দশা হল সুব্রহ্মণ্যমের। অর্থাৎ সাপের কামড় খাওয়াতে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন এই ব্যক্তি।


১০৩ বার সাপের কামড় খেয়েও যায়নি প্রাণ! কেন বারবার সুব্রহ্মণ্যমকে টার্গেট করে নাগেরা?


কথায় বলে ‘রাখে হরি মারে কে?’ এ যেন ঠিক তাই। অন্ধপ্রদেশের চিত্তুর জেলার বৈরেদ্দিপল্লি মণ্ডল এলাকার কুম্মারি কুন্তা গ্রামের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সী সুব্রহ্মণ্যম। সম্প্রতি সাপের কামড় খেয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এত অবধি বিষয়টা শুনে স্বাভাবিক মনে হবে। এতে আর নতুন কি আছে! গাঁয়ে-গঞ্জে হামেশাই সাপের কামড় খান বহু লোক। তবে সুব্রহ্মণ্যমের গল্পটা বাকিদের মতো সহজ নয়। কারণ এই বার নিয়ে মোট ১০৩ বার সাপের কামড় খেয়ে যাই যাই দশা হল সুব্রহ্মণ্যমের। অর্থাৎ সাপের কামড় খাওয়াতে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন এই ব্যক্তি।

বৈরেদ্দিপল্লি মণ্ডলের সুব্রহ্মণ্যম পেশায় একজন শ্রমিক। দৈনিক শ্রমিকের কাজ করেই পেট চলে তাঁর এবং পরিবারের। বর্তমানে সাপের কামড় খেয়ে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। যদিও পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, এটা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে ১০৩ বার বিষাক্ত সাপের কামড় খেলেন সুব্রহ্মণ্যম।

প্রথম যখন সুব্রহ্মণ্যম সাপের কামড় খেয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮। সেই শুরু, আর শেষ হয়নি। তিনি যেখানেই যান না কেন, যে কাজ করুন না কেন, সাপ যেন তাঁর পিছু ছাড়ে না। যেন পুরনো কোনও শত্রুতা রয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশীদের দাবি বারবার প্রতিশোধ নিতেই ফিরে আসে সাপেরা। এই দীর্ঘ সময়ে বহু বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম। যে তালিকায় রয়েছে কোবরাও। বহুবার প্রাণ সংশয় হয়েছে। আবার সুস্থ হয়েও উঠেছেন। সুব্রহ্মণ্যম এবং তাঁর পরিবারের কাছে সাপের কামড় খাওয়া এবং তারপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরোগ্য লাভ করাটা জল-ভাত খাওয়ার মতোই সহজ।


বর্তমানে আক্রান্ত সুব্রহ্মণ্যম পেদ্দাপাঞ্জানি মণ্ডলের শিবদী গ্রামের কাছে জেএমজে মিশনারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে ঘন ঘন সাপের কামড় এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে, সুব্রহ্মণ্যম তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে পরিবারকে ভরণপোষণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিবার সাপে কামড়ানো, তারপর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, চিকিৎসার খরচ বহন করাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তিন দিন আগে, বাইরেডিপল্লি মণ্ডলের কুমারিকুন্টা গ্রামের কাছে একটি মুরগির খামারে কাজ করার সময় সুব্রহ্মণ্যমকে সাপে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। এখন তিনি বিপদমুক্ত। বারবার সাপেড় কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ফলে এখন হাসপাতাল কর্মীদের কাছেও তিনি পরিচিত। এমনকি তাঁর প্রতি দয়া দেখিয়ে ফি কম নেন। তবে কেন বারবার সাপের কামড় খাচ্ছেন সুব্রহ্মণ্যম, সেই রহস্যের সমাধান করা এখনও সম্ভব হয়নি।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours