সে সময় টুর্নামেন্টের নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি। ২৫ বছর আগের বদলা নিল সৌরভেরই নিয়োগ করা ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার টিম। এই নিয়ে সৌরভ, ধোনির পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় রোহিতের।


হিটম্যান শো-মিডল অর্ডারের দাপটে নিউজিল্যান্ডকে টেক্কা, বদলা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন ভারত

ধাক্কা, সামলে ওঠা, ফের ধাক্কা, আবারও সামলে ওঠা। চূড়ান্ত নাটকীয় ফাইনাল। অবশেষে জয়ের হাসি টিম ইন্ডিয়ার। ম্যাচের শুরু হোক বা ইনিংস বিরতি। কখনও মনে হয়নি এত্তটা নাটকীয় ফাইনাল হতে পারে। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে একপেশে ম্যাচ হবে। তবে প্রতি মুহূর্তেই ম্যাচের রং বদলেছে। ২৫ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড। সৌরভের তরুণ টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে রান তাড়া করে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কিউয়িরা। সে সময় টুর্নামেন্টের নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি। ২৫ বছর আগের বদলা নিল সৌরভেরই নিয়োগ করা ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার টিম। এই নিয়ে সৌরভ, ধোনির পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় রোহিতের।


টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ লিগের প্রথম তিন ম্যাচে পিচ যেমন আচরণ করেছিল, সেমিফাইনালে তুলনামূলক ভালো পিচ ছিল। ফাইনালে তাই আকর্ষণ ছিল বাইশগজও। এই পিচ বোঝা কঠিন। তবে ক্রিজে পড়ে থাকলে রান করা সম্ভব, দু-দলের ব্যাটাররাই দেখিয়েছেন। স্পিনারদের অনবদ্য পারফরম্যান্স। ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ২৫২ রান। এরপরও কিন্তু চাপ ছিলই।

রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা দুর্দান্ত। ফাইনালের আগের দিন টিমের আগেই প্র্যাক্টিসে চলে গিয়েছিলেন রোহিত ও শুভমন। ফাইনালে শুরুটা ভালো দিতে হবে, এই প্রত্যয় ছিল। সেটাই করে দেখালেন। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১০৫ রান। এরপর মনে হয়েছিল এক তরফা ম্যাচ। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে শুভমন, বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে ভারত। শ্রেয়স-রোহিত জুটি আবারও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু রোহিতের আউট আবারও চাপে ফেলে।


ভারতীয় দল এরকম চাপের মুহূর্ত থেকে এই টুর্নামেন্টে অনেক ম্যাচই বের করেছেন। এই ম্যাচেও সমস্যা হল না। অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া ছোট ছোট জুটি গড়েন। হার্দিক আউট হলে জাডেজা। ভারতের ব্যাটিং গভীরতা অনেক। শেষ অবধি রাহুলের সঙ্গে জাডেজার জুটিতে ম্যাচ ফিনিশ। বাউন্ডারিতে উইনিং রান জাডেজার ব্যাটে। এক ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় ভারতের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours