মৃত নেতার ভাই বলছেন, “ও তো তৃণমূল করে। দেহ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে না ওটা দুর্ঘটনা। শুধু দুর্ঘটনা হলে শরীরে ওরকম ক্ষত হওয়ার কথা নয়। ইচ্ছা করেই মেরে ফেলা হয়েছে। মাথায় আর পায়ে আঘাত আছে। কাটার চিহ্ন স্পষ্ট। ওকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারা হয়েছে বা রড জাতীয় কিছু দিয়ে মারা হয়ে থাকতে পারে।”


তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার! রাত দেড়টা নাগাদ কিসের বিকট শব্দ? রহস্য বাড়ছে পলতায়
ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়


পলতায় তৃণমূল নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। হান্নান গাজি নামে ওই নেতার মাথায় গভীর ক্ষত চিহ্নও দেখা গিয়েছে। আঘাত পায়েও। যা দেখে পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে হান্নাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, রাত ১টা ২০ নাগাদ একটা তীব্র আওয়াজ পান এলাকার বাসিন্দারা।


আওয়াজ শুনে বেশ কয়েকজন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও আসেন। রাস্তায় চোখ যেতেই দেখা যায় সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ওই নেতার দেহ। খবর যায় পুলিশ। শেষে টিটাগড় থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। 


মৃত নেতার ভাই বলছেন, “ও তো তৃণমূল করে। দেহ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে না ওটা দুর্ঘটনা। শুধু দুর্ঘটনা হলে শরীরে ওরকম ক্ষত হওয়ার কথা নয়। ইচ্ছা করেই মেরে ফেলা হয়েছে। মাথায় আর পায়ে আঘাত আছে। কাটার চিহ্ন স্পষ্ট। ওকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারা হয়েছে বা রড জাতীয় কিছু দিয়ে মারা হয়ে থাকতে পারে।” সূত্রের খবর, এলাকার অটো ইউনিয়নও সামলাতো এই হান্নান। এলাকাতেও রীতিমতো তাঁর প্রভাব ছিল। তাই এ ঘটনার পিছনে রাজনীতির যোগ কতটা তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় আটক তাঁর সঙ্গী অভিজিৎ নন্দীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকাতেই পাকড়াও বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোনও সূত্র উঠে আসে কিনা এখন সেটাই দেখার। হান্নানের বৌদি বলছেন, “ওর সঙ্গে যে ছিল সে বলছে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেখে মনে হচ্ছে তা হয়নি।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours