গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে ছাত্র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তাল হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্রাত্য বসু। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে, গাড়ির ধাক্কায় আহত হন একাধিক ছাত্র।


বাড়িতে ঢুকতে পারবেন কি না, পাড়ায় খবর নিন'... 'পরামর্শ' মদনের
মদন মিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। সায়নী ঘোষ থেকে কুণাল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস- কেউই হুঁশিয়ারি দেওয়া থেকে বিরত থাকেননি। এবার একই সুর কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়। ‘বাড়িতে পা রাখতে পারবেন কি না, খবর নিন’, এ কথাই বলতে শোনা গেল মদন মিত্রকে।


গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে ছাত্র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তাল হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্রাত্য বসু। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে, গাড়ির ধাক্কায় আহত হন একাধিক ছাত্র। ওই ঘটনার পর এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক শাসক দলকে বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ‘সবাই চালিয়ে খেলো।’ এবার পাল্টা হুঙ্কার দিতে শোনা গেল মদন মিত্রকে।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন, “যত কাণ্ড যাদবপুরে। যাদবপুরে পা রাখার কথা বলছেন, আগে নিজের বাড়িতে পা রাখতে পারবেন কি না, পাড়ায় সেই খবর নিন। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে…।” একইসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “এমন খেলা খেলেছে যে বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। তার নীচে তো আর নামা যায় না।” মদনের কথায়, ‘তৃণমূল জার্সি পরতে যাচ্ছে শুনলে ওরা এমনিই ঘরে ঢুকে যাবে।’

মদনের এই বক্তব্য শুনে বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ও কারও বাবা-কাকাদের জায়গা নয়। ছাত্রছাত্রীরা যখন নিগৃহীত হয়, পুলিশ যখন অত্যাচার করে, তখন সেই ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নামলে পল্টু-লাল্টুরা ভোগে চলে যায়। দম থাকলে মদন মিত্র ইলেকশনটা করে দেখান।” অন্যদিকে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলই বামেদের নিরাপত্তা দিয়েছে বিজেপিকে আটকাতে। আর এখন তৃণমূলই অভিযোগ তুলছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours