এখানেই শেষ নয়, মেগা অকশনে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, একঝাঁক তারকার নামই ডাকা হয়নি। কিন্তু সেখান থেকেই এক তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুধুই কি স্কোয়াড কমপ্লিট করার জন্য? একেবারেই নয়।


রোহিতের ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত! অভিষেকেই ৩ উইকেটে ধোনির স্নেহের হাত, কে এই চায়নাম্যান?


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশনে কতজন নাম লিখিয়েছিল মনে আছে? ১০৭৪ জন। সকলেই মেগা অকশনে সুযোগ পাননি। এখানেই শেষ নয়, মেগা অকশনে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, একঝাঁক তারকার নামই ডাকা হয়নি। কিন্তু সেখান থেকেই এক তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুধুই কি স্কোয়াড কমপ্লিট করার জন্য? একেবারেই নয়।


গত কয়েক মরসুম ধরেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে একটা ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। তারা তরুণ ক্রিকেটারদের দলে নিয়ে গ্রুম করছে। সকলেই ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছেন, তা নয়। টিম একটা সেটই থাকে। একটু এদিক ওদিক করে নতুনদেরও সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ ভাবেই তো তিলক ভার্মা, নমন ধীররা উঠে এসেছেন। কিংবা বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার কিংবদন্তি জসপ্রীত বুমরাকেও স্কাউটিংয়ের মাধ্যমেই তুলে এনেছিল মুম্বই।

আইপিএলের গত মেগা অকশনে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকায় বিগ্নেশ পুথুরকে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাঁকে নিয়ে সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে যে খুব একটা আগ্রহ ছিল, তা নয়। একেবারেই অচেনা নাম। কিন্তু যাঁরা ১৮তম আইপিএলের এল ক্লাসিকো দেখেছেন, তাঁদের কাছে অচেনা নয়। ভারতের চায়নাম্যান বোলার চাই? মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে রয়েছে তো! এ কথা হয়তো কয়েক বছর পর মিলে যেতেই পারে।

প্রথম বার ক্রিকেট খেলছেন তা নয়। এতদিন প্রাইপ্রারি ‘স্কুলে’ পড়তেন এটা বরং বলা যায়। এল ক্লাসিকো দিয়ে সরাসরি বড়দের ক্লাসে বিগ্নেশ। চেন্নাই সুপার কিংসের চায়নাম্যান সাফল্য পেয়েছেন, মুম্বইও নামিয়ে দেয় বিগ্নেশকে। রোহিত শর্মার জায়গায় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। প্রথম তিন ওভার দুর্দান্ত কেটেছে তাঁর। ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। তাও আবার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে, দীপক হুডার মতো আইপিএল এবং ভারতীয় ক্রিকেটে অতি পরিচিত প্লেয়ারদের উইকেট। বিগ্নেশের সম্পর্কে আরও একটু জেনে নেওয়া যাক।

কেরলের ক্রিকেটার। তবে কেরল সিনিয়র দলের হয়ে এখনও খেলার সুযোগ মেলেনি। অনূর্ধ্ব ১৪ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে কেরলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেরল ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। কেরিয়ারের শুরু দিকে ছিলেন মিডিয়াম পেসার। স্পিন বোলিংও করেছেন। কিন্তু এক স্থানীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শেরিফের পরামর্শই যেন ‘টার্নিং’ পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর কথাতেই বাঁ হাতে লেগ স্পিন ট্রাই করেন। তখনও অবধি চায়নাম্যান শব্দটির সঙ্গেও পরিচিত ছিলেন না বিগ্নেশ। আর এই বোলিংয়েই এল ক্লাসিকোতে বাজিমাত।

উইকেট নেওয়ার পর রোহিতের উচ্ছ্বাস, ম্যাচ শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। তেমনই কৃতিত্ব দেন টিমের স্কাউটদের, যাঁরা বিগ্নেশকে খুঁজে এনেছেন। এর পরের দৃশ্যটা বিগ্নেশের কাছে স্বপ্নের মতো। বলা ভালো, নিজের শরীরেই যেন চিমটি কেটে দেখতে হয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর কাঁধে হাত রেখেছেন। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে!
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours