যুবতীর দিদা জানিয়েছেন, আগামী ২৫ এপ্রিল তাঁর বিয়ে ছিল। যুবতীর মা-বাবা চিকিৎসার জন্য লখনউ গিয়েছিলেন। যুবতী একাই বাড়িতে ছিলেন বিগত দুই দিন ধরে।


২৫ এপ্রিল বিয়ে, মা-বাবা ছিল না, ফাঁকা বাড়ি পেয়েই...,যুবতীকে যে অবস্থায় দেখা গেল, চোখ নামিয়ে নিল সবাই
ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ।


পরের মাসেই বিয়ে। শহরে গিয়েছিল মা-বাবা। বাড়িতে একাই থাকছিল বছর কুড়ির যুবতী। দুইদিন ঠিকভাবে থাকলেও, তিনদিনে তাঁকে যে অবস্থায় দেখা গেল, তাতে গা শিউরে উঠল সবার। মাটি থেকে ৬ ফুট উপরে, একটা জাম গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল যুবতীর। আতঙ্কের বিষয়, যুবতীর হাতদুটি পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


রবিবার ভোরে উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় একটি গ্রাম থেকে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা নয়, খুন। যুবতী নিজের হাত পিছন থেকে বেঁধে, এত উচু গাছে উঠে গলায় ফাঁস দেওয়া অসম্ভব। এর পিছনে প্রেমঘটিত বা প্রতিহিংসার কোন কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

যুবতীর দিদা জানিয়েছেন, আগামী ২৫ এপ্রিল তাঁর বিয়ে ছিল। যুবতীর মা-বাবা চিকিৎসার জন্য লখনউ গিয়েছিলেন। যুবতী একাই বাড়িতে ছিলেন বিগত দুই দিন ধরে। রবিবার ভোরে পুলিশের কাছে খবর আসে, যুবতীর বাড়ি থেকে ৪০-৫০ মিটার দূরেই একটি জাম গাছে তাঁর দেহ ঝুলছে। এরপরই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তাও রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে।


যুবতীর দিদা বলেন, “আমার নাতনি আত্মহত্যা করেনি। এর পিছনে অনেকের হাত রয়েছে। আমি সুবিচার চাই। অপরাধীদের ধরে তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours