আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ, বসিরহাটকাণ্ডে নয়া মোড়
৬ মিনিটেই দশ লক্ষ…, বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন হার্দিক পান্ডিয়া!
হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব, মমতার বার্তা সিদ্দিকুল্লাকে
সুস্বাস্থ্যের পঞ্চায়েত গড়ার উদ্যোগ নিল ঘোড়ামারা
অধ্যক্ষ বিমানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বিজেপি’, কেন বললেন শুভেন্দু?
ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিক কুলভূষণ যাদব অবসর গ্রহণের পর ইরানের চাবাহারে ব্যবসা করতেন। ২০১৬ সালে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছ থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয় এবং পাকিস্তানি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক থেকে পরপর গুলি, 'খতম' কুলভূষণ যাদবের অপহরণে আরও এক মদতদাতা! পাকিস্তান কি নতুন ষড়যন্ত্র করছে?
কুলভূষণের অপহরণে মদতদাতা মীরকে হত্যা।
ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সেই কাজে মদত দিয়েছিল যে পাকিস্তানি, তাকেই গুলি করে হত্যা। শুক্রবার রাতে বালোচিস্তানে ধর্মগুরু তথা গবেষক মুফতি শাহ মীরকে গুলি করে হত্যা করে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। এর আগেও দুইবার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেই খবর।
জানা গিয়েছে, বালোচিস্তানের তুরবতে স্থানীয় একটি মসজিদে প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন মুফতি শাহ মীর। মসজিদ থেকে বেরতেই কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে আসে এবং পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
মীর জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-র সদস্য ছিল। নামে ধর্মীয় গবেষক হলেও, আড়ালে অস্ত্র ও মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আইএসআই-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশেও মদত দিত মীর।
এর আগেও দুইবার মীরকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত সপ্তাহেই তাঁর দলের দুই সদস্যকেও গুলি করে খুন করা হয়।
কুলভূষণ যাদব অপহরণ কাণ্ড-
ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিক কুলভূষণ যাদব অবসর গ্রহণের পর ইরানের চাবাহারে ব্যবসা করতেন। ২০১৬ সালে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছ থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয় এবং পাকিস্তানি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সামরিক কোর্ট তাঁকে গুপ্তচর বলে দোষী সাব্যস্ত করে এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়। ভারত এই রায়ের তীব্র বিরোধিতা করে।
২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত করে দেয়। বর্তমানে পাকিস্তানের জেলেই বন্দি রয়েছেন তিনি।
কুলভূষণের অপহরণে হাত ছিল জইশ আল আদলের সদস্য মোল্লা ওমর ইরানিরও। ২০২০ সালে আইএসআই এজেন্টরাই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এবার অপহরণে আরেক মদতদাতা মুফতি শাহ মীরকেও গুলি করে হত্যা করা হল। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা জানা যায়নি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours