যদিও নিয়মমাফিক মন্ত্রী ইস্তফাপত্র নিতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে এসিডও (SDO) এই ইস্তফা পত্র জমা নেবেন।খোদ মন্ত্রী নিজে মনোজ রায়কে নিয়ে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। এরপর গাড়িতে তুলে দেন।


 পদত্যাগ করানো নিয়ে ক্ষোভ আছে? মলয় বলার আগেই ববি বললেন, 'ক্ষোভ কেন থাকবে? সকলেই সৈনিক হয়ে কাজ করি'
ফিরহাদ হাকিম


পানিহাটির পৌরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে পদত্যাগের নির্দেশ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি আসেন ববির বাড়ি। প্রায় ২৭ মিনিট রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপর চেতলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মলয় রায়। রাজ্যের মন্ত্রীর হাতে দিয়ে যান ইস্তফা পত্র। যদিও নিয়মমাফিক মন্ত্রী ইস্তফাপত্র নিতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে এসিডও (SDO) এই ইস্তফা পত্র জমা নেবেন। খোদ মন্ত্রী নিজে মনোজ রায়কে নিয়ে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। এরপর গাড়িতে তুলে দেন।


মলয় রায় বলেন,”মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পৌরপ্রধান হিসাবে আমায় আর রাখতে চাইছেন না। সেই নিয়ে কথা হয়েছে। মন্ত্রীকে আমি জানিয়েছিলাম সন্ধের পর যাব। সেই মতো ইস্তফাপত্র দিয়েছি। কারণ সর্বোচ্চ নেত্রী যখন বলে দিয়েছেন তখন আমি আমার ইস্তফা পত্র মন্ত্রী হাতে জমা করে দিয়েছি।” এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ইস্তফা নিয়ে কোনও ক্ষোভ? সেই সময় উত্তর দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,” সামনে বিধানসভা নির্বাচন। হয়ত দল মনে করেছেন ওঁকে অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোনও দুর্নীতি বা মাঠের বিষয় নয়। সম্পূর্ণ দলীয় সিদ্ধান্তে মলয় রায়কে পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

মলয় রায় বলেন, “আমার কোনও আক্ষেপ বা ক্ষোভ কিছুই নেই। ফিরহাদ হাকিম আমার সময় অনেক সাহায্য করেছেন। রাস্তা, জল, নিকাশি সবকিছু দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমার কোনও আক্ষেপ নেই।”


মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ক্ষোভ কেন থাকবে? আমাদের দলে সবাই একসঙ্গে সৈনিক হিসেবে কাজ করি। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে রাখেন। আবার অন্য কাজে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে নির্দিষ্ট পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেন। সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কোনও ভাবনা রয়েছে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours