বিনিয়োগকারীরা 'মার্ভেলাস মার্চ' বললেও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ভারতের বাজার কি এই গতি ধরে রাখতে পারবে?



ইতিহাস বলছে ভারতের শেয়ার বাজারের সবচেয়ে ভাল রিটার্ন দেওয়া মাস হল মার্চ। শুধুমাত্র করোনার বছর বাদ দিলে মার্চে ভারতের বাজার ভালই পারফর্ম করে। গড় ২.৩ শতাংশ বাড়ে নিফটি ৫০, নিফটি মিডক্যাপ ১০০ বাড়ে ২.৯ শতাংশ ও নিফটি স্মলক্যাপ ১০০ বাড়ে ২.৬ শতাংশ করে। আর ২০২৪-এর সেপ্টেম্বর থেকে পড়া শুরু করলেও নিফটি মার্চেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং ২৩০০০-এর গণ্ডি পার করে গিয়েছে।


এ বছর মার্চে ভারতের বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। বাজার পড়ে যাওয়ায় তৈরি হওয়া বুদবুদও ফেটে যায়। ফলে অনেক সংস্থার শেয়ার মার্চের শুরুর দিকে বেশ সস্থায় পাওয়া যাচ্ছিল। আর সেই সুযোগ নিয়ে ফের ভারতে ঢুকতে থাকে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এরপর তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল সামনে আসার পর দেখা যায় ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে ৬.২ শতাংশ। এ ছাড়াও দেখা যায় মুদ্রাস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৬১ শতাংশে। আর এতেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে বিনিয়োগকারীদের।

বাজারে মূলধন আগে আসতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের থেকে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের পর এই জায়গায় একটা পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন ভারতের বাজার থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন বাজারকে বাঁচিয়ে দেয় দেশের মধ্যে থাকা বিনিয়োগকারীরা। যদিও জিওজিৎ ফাইন্যান্সিয়ালের রিসার্চ হেড বিনোদ নায়ার বাজারের বর্তমান উর্ধ্বগতির কারণ হিসাবে দায়ী করছেন ডলার সূচকের পতনকে।


যদিও, লার্জক্যাপ সূচকের শেয়ারগুলোর দাম সাধ্যের মধ্যে এলেও মিড ও স্মলক্যাপ সূচকে থাকা শেয়ার এখনও অনেক বেশি দামি, বলছেন ইউটিআই এএমসির ভি শ্রীবাস্তব। যদিও তিনি মিড ও স্মলক্যাপ সংস্থাগুলোর মধ্যে বাছাই করা বেশ কিছু ক্ষেত্রে দারুণ সুযোগ খুঁজে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এমন দ্রুত উত্থানের পরও বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিনিয়োগ নিয়ে হুঁশিয়ার থাকতে। তবে ভারতের অবস্থা বলছে, এখনও খুব ভয় পাওয়ার সময় আসেনি। বিনিয়োগকারীরা ‘মার্ভেলাস মার্চ’ বললেও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, ভারতের বাজার কি এই গতি ধরে রাখতে পারবে, নাকি বৈদেশিক কারণে ধাক্কা খাবে ভারতের বাজার? এর উত্তর পাওয়া যাবে একমাত্র আগামী কয়েকটা মাসে।

কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। 

 বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours