ভরা ইডেনে গ্য়ালারি টপকে মাঠে ঢুকে পড়েছিল ঋতুপর্ণ। সাধ একটা বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরার।
বিরাট' দোষে অভিযুক্ত ঋতুপর্ণ, ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানোর আর্জি মায়ের
বাঁদিকে ঋতুপর্ণ পাখিরা, ডানদিকে মা কাকলী পাখিরা
মাকে সে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ‘গুরুদেবের (পড়ুন বিরাট কোহলি) দেখা পেলেই পায়ে হাত দেবে, জড়িয়ে ধরবে।’ হলও তেমনটাই। শনিবার ইডেনে ভরা বাজার। কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরুর ক্রিকেট ম্য়াচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছে কাতারে কাতারে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাদের মাঝেই ছিল ঋতুপর্ণ।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পারাতল গ্রামের বাসিন্দা সে। সবে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। এখনও কলেজ যাওয়া বাকি। কিন্তু তার আগেই ঋতুপর্ণকে চড়তে হল পুলিশের প্রিজন ভ্যানে। কী অপরাধ করেছে এই নাবালক? ভরা ইডেনে গ্য়ালারি টপকে মাঠে ঢুকে পড়েছিল ঋতুপর্ণ। সাধ একটা বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরার।
শনির সন্ধ্যায় পূরণ হয়েছে সেই সাধ। পুলিশি ঘেরাটোপ টপকে বিরাটের কাছে পৌঁছে প্রথমে তাঁকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম, তারপর বিরাটকে জড়িয়ে ধরেন এই নাবালক। এই স্বপ্নের মধ্য়ে কিন্তু বেশিক্ষণ বাঁচতে পারেনি ঋতুপর্ণ। দ্রুত নাবালককে পিচ থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় অপরাধমূলক অনুপ্রবেশের মামলা। তবে নাবালকের কর্মকাণ্ড দেখে একাংশ বলছে, অনুগামীরা আসলে ঋতুপর্ণের মতোই হয়। আপাতত ‘বিরাট’ দোষ করে হেফাজতেই রয়েছে সে।
এদিকে ছেলের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি করছেন মা কাকলী পাখিরা ও গ্রামবাসী। ঋতুপর্ণের কর্মকাণ্ড নিয়ে যখন গোটা দেশেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই আবহে মায়ের আবেদন, ‘বিরাট কোহলি ও অন্যান্য় খেলোয়াড়রা ওকে ক্ষমা করে দিন। বিরাট ওঁর কাছে ভগবানের মতো। আবেগেই এমন ভুল করে ফেলেছে’। শুধু বিরাটই নয়, কলকাতা পুলিশের কাছেও একই আবেদন ঋতুপর্ণের পরিবার ও গ্রামবাসীর।
তারা আরও জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকে ক্রিকেট ওঁর কাছে একটা নেশা। প্রথমে জামালপুর, তারপর কলকাতার বেলেঘাটায় ক্রিকেট কোচিংও নিতে যেত সে। সেদিন IPL দেখতে যাচ্ছে জানতাম, কিন্তু এমনটা যে সত্য়ি ঘটিয়ে ফেলবে, তা আন্দাজ করতে পারিনি।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours