বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন সুচিত্রা সেন। তবে ঋত্বিক ও সত্যজিতের ছবিতে ইচ্ছে থাকলেও, সুচিত্রার কাজ করা হয়নি। ঋত্বিকের সঙ্গে একটা 'রঙের গোলাম' নামের এক ছবির শুটও শুরু করেছিলেন মহানায়িকা। আর সত্যজিতের সঙ্গে যেটা ঘটে, তা বড়ই অদ্ভুত।


সত্যজিৎ এটা চাইতেই মুখের উপর না বলেছিলেন সুচিত্রা, স্টুডিও থেকে সটান বেরিয়ে যান মহানায়িকা, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল?


বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন সুচিত্রা সেন। তবে ঋত্বিক ও সত্যজিতের ছবিতে ইচ্ছে থাকলেও, সুচিত্রার কাজ করা হয়নি। ঋত্বিকের সঙ্গে ‘রঙের গোলাম’ নামের এক ছবির শুটও শুরু করেছিলেন মহানায়িকা। তবে অজ্ঞাত কারণে তা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। এটা নিয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আপশোসও ছিল সুচিত্রা ও ঋত্বিকের। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেও একটা ছবি কথা হয়েও, পরে এই ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সুচিত্রা। সত্য়জিৎ নাকি এক শর্ত রেখেছিলেন, সেই শর্তেই ছিল সুচিত্রার আপত্তি! আর তা থেকেই গণ্ডগোল।


সেই সময় বিনোদন ম্যাগাজিনগুলোর শিরোনামে উঠে এসেছিল সত্যজিৎ ও সুচিত্রার এই ঠান্ডা লড়াইয়ের ঘটনা। নিন্দুকরা তো স্টুডিও পাড়ায় ঘুরে বেরাতেন এই নিয়ে নানা তথ্য জোগার করতে।

সেই সময়ের এক জনপ্রিয় বিনোদন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেবী চৌধুরানী তৈরি করার প্ল্য়ান করছিলেন সত্যজিৎ রায়। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে প্রাথমিক কথাও হয়ে গিয়েছিল এই ছবি নিয়ে। একদিন চিত্রনাট্য শোনানোর জন্য সুচিত্রাকে স্টুডিওপাড়ায় ডাকেন সত্য়জিৎ। চিত্রনাট্য শোনানোর মাঝে, মহানায়িকাকে তিনি বলেন, এই ছবি করার সময় তুমি অন্যকোনও ছবি করতে পারবে না। কারণ আমি চাই না, তুমি অন্য ছবির, অন্য চরিত্র দ্বারা প্রাভাবিত হয়। এটাই আমার সঙ্গে কাজ করার একমাত্র শর্ত!


জানা যায়, সত্যজিতের মুখে এমন কথা শুনে প্রথমে হতবাক হয়েছিলেন সুচিত্রা। তারপর একটু থমকে গিয়ে বলেন, এই শর্ত তিনি মানতে পারবেন না। তাই এই ছবি করবেন না। এরপরই রীতিমতো রেগেমেগে স্টুডিও ছাড়েন মহানায়িকা। সুচিত্রা নাকচ করায় দেবী চৌধুরানী আর তৈরিই করেননি সত্যজিৎ!
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours