সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের জেরে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন। দলের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সশরীরে হাজিরা দিতে হয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য।


রমজান মেলালেন নওশাদ-হুমায়ুনকে, আর তাতেই পারদ চড়ল জল্পনার
বিধানসভায় নওশাদ-হুমায়ুন


যে বিধানসভায় নিত্য়দিন বিক্ষোভের ছবি দেখা যায়, বিরোধীরা যেখানে বারবার ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যায়, রমজানের মাঝে সেখানেই দেখা গেল এক ভিন্ন ছবি। শাসক ও বিরোধী দলের দুই নেতা একেবারে মুখোমুখি। হেসে একে অপরের সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে এমনই ছবি দেখা গেল বিধানসভার মধ্যে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের এই সাক্ষাৎ বাড়াচ্ছে জল্পনা। যদিও ‘সৌজন্য’ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন দুই নেতা।


নওশাদ সিদ্দিকি আইএসএফ-এর একমাত্র বিধায়ক। আর হুমায়ুন কবীর ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের জেরে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন। দলের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সশরীরে হাজিরা দিতে হয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য। দলের তরফে তাঁকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নওশাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ কি নিছকই সৌজন্য? প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য়, দল কড়া ব্যবস্থা নিলে তাঁকে অন্য পথ ভাবতে হবে, এমন মন্তব্যও করেছেন হুমায়ুন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, নওশাদের সঙ্গে কি এমন কোনও বিষয়ে কথা হল? তবে হুমায়ুন বলছেন, শুধুই সৌজন্য। তিনি বলেন, “বিধানসভার অন্দরে কোনও দলভেদ নেই। এখানেই আমরা সবাই বিধানসভার সদস্য।”

এদিকে আবার নওশাদকে নিয়েও জল্পনার শেষ নেই। সোমবার বিধানসভায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূল শওকত মোল্লার সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিধায়ক দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্য়ে ইফতার নিয়ে কথা হয়েছে। তবে পরপর এমন সাক্ষাতের পিছনে অন্য কোনও অঙ্ক আছে কি না, সেটাই দেখার।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours