নির্যাতিতার অভিযোগ, শনিবার ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। আচমকা তাঁর বাড়িতে জল চাইতে যায় অভিযুক্ত যুবক। আর ঠিক তখনই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে নিয়ে চলে যায় ওই যুবক। মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করা হয়।


জল খাওয়ার বাহানা করে বাড়িতে ঢুঁ! দরজা খুলতেই যুবতীর মুখে সেলোটেপ আটকে ধর্ষণের অভিযোগ রামপুরহাটে
অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা


জল খেতে চাওয়ার বাহানা করে গৃহবধূর মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বীরভূমের রামপুরহাট থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দু’জনেরই বাড়ি একই থানা এলাকায় বলে জানা যাচ্ছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলছেন নির্যাতিতার বাড়ির সদস্যরা। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের বাসিন্দারাও।


নির্যাতিতার অভিযোগ, শনিবার ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। আচমকা তাঁর বাড়িতে জল চাইতে যায় অভিযুক্ত যুবক। আর ঠিক তখনই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে নিয়ে চলে যায় ওই যুবক। মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরের বাড়ির লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে। তাঁদের কাছে সবটা খুলে বলেন ওই যুবতী। রাতেই ওই যুবকের নামে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেতেই অ্যাকশনে নামে পুলিশ। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অন্যদিকে ইতিমধ্য়েই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। 


নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য বলছেন, “জল খাওয়ার নাম করে ছেলেটা বাড়িতে ঢোকে। দরজা খুলে জল দিতে যেতেই ওকে টেনে বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়। হা-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দেয়। তারপর রেপ করে। চেঁচামেচি শুনে মা প্রথমে ছুটে আসে। মা ছেলেটাকে ধরেও ফেলে। ওরা টাকা দিয়ে ফায়সালা করতে চেয়েছিল। কিন্তু, রাতেই আমরা রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”  
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours