আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ, বসিরহাটকাণ্ডে নয়া মোড়
৬ মিনিটেই দশ লক্ষ…, বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন হার্দিক পান্ডিয়া!
হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব, মমতার বার্তা সিদ্দিকুল্লাকে
সুস্বাস্থ্যের পঞ্চায়েত গড়ার উদ্যোগ নিল ঘোড়ামারা
অধ্যক্ষ বিমানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বিজেপি’, কেন বললেন শুভেন্দু?
দু'দিন আগেই মারা যায় সেই প্রাণধিক প্রিয় বিড়াল। পোষ্যের মৃত্যু হলেও তা মেনে নিতে পারেননি পূজা। মারা যাওয়ার পরেও দু'দিন সেই মৃত দেহ বাড়িতেই নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন পূজা।
মরা বিড়ালের সঙ্গে ঘরের ভিতরে...যুবতীর কাণ্ডে মাথায় হাত পড়বে আপনার
পশুপ্রেম, যে কোথায় যেতে পারে তা কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসে। উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার বাসিন্দা ৩২ বছরের যুবতী পূজা। প্রচণ্ড বিড়াল ভালবাসতেন। শখ করে বাড়িতে একটা বিড়াল পুষেছিলেন। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো তার সঙ্গেই।
দু’দিন আগেই মারা যায় সেই প্রাণধিক প্রিয় বিড়াল। পোষ্যের মৃত্যু হলেও তা মেনে নিতে পারেননি পূজা। মারা যাওয়ার পরেও দু’দিন সেই মৃত দেহ বাড়িতেই নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন পূজা। ভেবেছিলেন হয়তো বেঁচে উঠবে আদরের পোষ্য। কিন্তু ২ দিন পেরিয়ে গেলেও কিছুই হয়নি। নিথর দেহ নিথর থেকে যায়। সেই শোক মেনে নিতে পারেননি যুবতী। বিড়ালের সঙ্গে নিজেও আত্মঘাতী হন পূজা।
জানা যায় আমরোহা জেলার হাসনপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন পূজা। ৮ বছর আগে দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তবে সেই সম্পর্কে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দুবছর আগেই হয় বিবাহ বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের পর থেকেই বাপের বাড়িতে মা গজরাদেবীর সঙ্গে থাকতেন পূজা।
বিচ্ছেদর পর থেকেই একাকীত্বে ভুগছিলেন পূজা। সেই অবস্থা থেকে বেরোতে একটা বিড়াল পোষেন তিনি। বৃহস্পতিবার মারা যায় সেই শখের পোষ্য। তারপর থেকেই ফের অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েন পূজা। তাঁর মা গজরা দেবী পূজাকে অন্য একটি পোষ্য কিনে আনার পরামর্শ দিলেও পূজা রাজি হননি।
জানা যায় দু’দিন ওই বিড়ালের মৃতদেহকে আঁকড়ে বসেছিলেন পূজা। কিছুতেই বিড়ালের মরদেহ নিয়ে যেতে দেবে না সে। বাড়ির লোকেরা অনেক চেষ্টা করেও ওই বিড়ালের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেননি।
শনিবার দুপুরবেলা নিজেকে চারতলার ঘরে বন্ধ করে নেন পূজা। রাত ৮ টা নাগাদ মেয়ের খোঁজ নিতে উপরে যান মা গজরা দেবী। কিন্তু ঘরে ঢুকতেই জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা পান তিনি। গজরাদেবী দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে পূজা। পাশেই শোয়ানো বিড়ালের মৃতদেহ। মায়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশিরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। বিষয়টি এখনও পুলিশের তদন্তাধীন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours