লিপিকার ‘ধনুক ভাঙা পণে’ জল ঢাললেন ফিরহাদ, খুশি এলাকাবাসীরা
এই বয়সেও রেহাই নেই! ৭৬-এর লালুকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় তলব ইডির
সুনীতাদের ফেরাতে বড় ভূমিকা মাস্কের, স্পেসএক্সের কর্ণধারকে ধন্যবাদ ২ মহাকাশচারীর
হার মানবে বন্দে ভারত, এভাবেই লুপের ভিতর দিয়ে হাইস্পিডে পৌঁছে যাবেন, ভিডিয়ো প্রকাশ রেলমন্ত্রীর
শিয়ালদহ ডিভিশনের নতুন পদক্ষেপে বাঁচবে সময়, কমছে খরচ
একটা ধর্মের ভিত্তিতে ঠিক-ভুল নির্ধারণ করা উচিত নয়। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এমন মন্তব্য করা আদতেই ভুল, দাবি কংগ্রেস সভাপতির।
মদ-মাংস বিক্রি করছে...', কেদারনাথকে 'অপবিত্র' করার অভিযোগ তুলে অহিন্দুদের প্রবেশ বন্ধের দাবি BJP বিধায়কের
কেদারনাথ
চার ধামের এক ধাম কেদারনাথ। আগামী মাসের ৩০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এই চার ধামযাত্রা। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ পুণ্যার্থী এই চার ধামযাত্রা করে থাকেন। সাধারণভাবে হিন্দুদের তীর্থ হলেও, এই চার ধাম ঘিরে কিন্তু দু’টো উপার্জন করতে সেখানে গিয়ে থাকেন অহিন্দুরাও। আর তাতেই কাঁটা ফেলার চেষ্টা বিজেপি বিধায়ক।
তিনি উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথের বিধায়ক। নাম আশা নওটিয়াল। তাঁর দাবি, ‘আমি সদ্যই স্থানীয়দের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে যে অহিন্দুরা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনছে। তাই এই সমস্ত অহিন্দুদের কেদারনাথ ধামে প্রবেশ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। স্থানীয়রাও এটাই চায়।’
বিধায়কের মন্তব্যকে কিন্তু সমর্থন জানাচ্ছে দল। এদিন বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ মনভীর সিং চৌহান একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এই চার ধামের সঙ্গে হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগ জুড়ে রয়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই চার ধামযাত্রা করে থাকেন। তাই তাঁর দাবিকে আমরা সমর্থন জানাই।’
পাশাপাশি, এই বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, ‘কেদারনাথের ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন যে কিছু মানুষ এখানে এসে মদ ও মাংস বিক্রি করছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই অভিযোগগুলো উঠছে। মুসলিমরা এখানে এসে মাংস বিক্রি করছে। এমন একটা পবিত্র স্থানে এই রকম ব্যবসা খোলাটা ভুল।’
উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যকে ‘ধর্মীয় উস্কানি’ বলেই তোপ দেগেছেন সে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি করণ মহরা। তাঁর কথায়, ‘রাজনৈতিক মাইলেজ পাওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়ক এই ধরণের মন্তব্য করছেন। একটা ধর্মের ভিত্তিতে ঠিক-ভুল নির্ধারণ করা উচিত নয়। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এমন মন্তব্য করা আদতেই ভুল।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours