৮০ টাকা করে বিরিয়ানি বিক্রির কথা ছিল, ‘আইআরসিটিসি’ থেকে OTP এসেছিল ফোনে, পিছনে যে এত বড় ছক…
গুলাম সাবির তাঁর পরিচিত আরও তিনটি দোকানের সঙ্গে কথা বলে। অফারটি তাঁদের ভালই লাগে। মোট চারটি দোকানের জন্য চুক্তিও হয় খাতায় কলমে। কোর্ট পেপারে চুক্তি হওয়ায় সন্দেহও হয়নি।
৮০ টাকা করে বিরিয়ানি বিক্রির কথা ছিল, 'আইআরসিটিসি' থেকে OTP এসেছিল ফোনে, পিছনে যে এত বড় ছক...
চুঁচুড়ার বিরিয়ানি দোকান
চুঁচুড়া: হুগলির চুঁচুড়া শহরে যত্রতত্র চোখে পড়ে বিরিয়ানির দোকান। লাল কাপড়ে ঘেরা বড় বড় হাঁড়ি থেকে বিরিয়ানির সুবাস খাদ্য রসিকদের আকর্ষণ করে। সেই বিরিয়ানি দূরপাল্লার ট্রেনে বিক্রি করা হবে, এই লোভ দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে বিরিয়ানির দোকান রয়েছে মহম্মদ গুলাম সাবিরের। তাঁর অভিযোগ, হুগলি ঘাট মোগলপুরা এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ দীক্ষিত কয়েকদিন আগে চুঁচুড়া স্টেশন এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নিয়ে যান তাঁর বিরিয়ানির দোকানে। তাঁরা ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, “আইআরসিটিসি ট্রেনে বিরিয়ানি বিক্রির সুযোগ দিচ্ছে। প্রতিদিন ১৬০০ প্যাকেট বিরিয়ানি দিতে হবে ৮০ টাকা দরে।”
গুলাম সাবির তাঁর পরিচিত আরও তিনটি দোকানের সঙ্গে কথা বলে। অফারটি তাঁদের ভালই লাগে। মোট চারটি দোকানের জন্য চুক্তিও হয় খাতায় কলমে। কোর্ট পেপারে চুক্তি হওয়ায় সন্দেহও হয়নি। আইআরসিটিসি থেকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয় মোবাইলে। চারটি দোকান থেকে ৫০ হাজার করে মোট ২ লক্ষ টাকা নেয় ওই দু’জন। প্রসেসিং ফি হিসেবে ১২৮০ টাকা করেও নেওয়া হয়।
সোমবার রাতে আরও টাকা নিতে এক যুবক তাঁদের দোকানে যান। এর মধ্যে ব্যবসায়ী খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তিনি জানতে পারেন দূরপাল্লার ট্রেনে খাবার সরবরাহ বা টেন্ডারের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটা অনলাইনে হয়। নগদ টাকা দিয়ে কিছু হয় না। তাতেই তাঁর সন্দেহ হয়। এরপর সোমবার ওই যুবককে ধরে দোকানে বসিয়ে রাখেন ব্যবসায়ী। টাকা ফেরত দিতে বলেন তাঁকে। নিত্যানন্দ নামে ওই যুবক যাঁর জন্য এই কাজ করেছিলেন, সেই রবীন মজুমদারকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। বিরিয়ানি ব্যবসায়ী পুলিশ ডেকে প্রতারককে ধরিয়ে দেন। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours