বাইডেনের আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে আমেরিকা হাত তুলে নিলে সেটা সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। শুধু ইউরোপের কাছে নয়। আমেরিকার কাছেও। অথচ রিপাবলিকানরা সেটাই করতে চলেছে।
আমায় সুযোগটাই দিল না...', শেষবেলায় কীসের আক্ষেপ বাইডেনের?
জো বাইডেন।
আই হ্যাড দ্য বেস্ট চান্স অ্যান্ড ইউ মিসড ইট বাডি। বিদায়বেলায় এই বার্তা বাইডেনের। বললেন,”আমাকে লড়তে দিলে ট্রাম্পকে গো-হারা হারাতাম – সুযোগই পেলাম না”। যেন মনের কথাটা বলেই দিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাইডেনের আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে আমেরিকা হাত তুলে নিলে সেটা সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। শুধু ইউরোপের কাছে নয়। আমেরিকার কাছেও। অথচ রিপাবলিকানরা সেটাই করতে চলেছে। বাইডেন বললেন, “আমি ভোটে লড়লে এই বিপর্যয় দেখতে হতো না”। ঘটনাচক্রে গত তিন-চারদিন ধরে ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে ইউক্রেনের জাপোরঝিয়ায় ঘনঘন মিসাইল, ড্রোন অ্যাটাক চালাচ্ছে রুশ ফৌজ। জোর লড়াই চলছে কুরস্কে। সেখানে জার্মানি, আমেরিকান ট্যাঙ্ক নামিয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। পাল্টা ট্যাঙ্ক ডিভিশন নামিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের নির্দেশে কুরস্কে গিয়েছেন রুশ উপ- প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউনুস বেক ইয়াকুরোভ।
ইয়াকুরোভকে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন পুতিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস প্রবেশের আগে ইউক্রেনের যতটা সম্ভব জমি দখলের কৌশল। চাপ বাড়ানোর কৌশল। এতে দরাদরির সময় বাড়তি সুবিধা পাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আগেই ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা তিনি করবেন। পুতিনকে বার্তা দিয়েই ট্রাম্পের মন্তব্য, আমি মিঃ পুতিনকে বুঝি। ওর সমস্যাটা বুঝতে পারি। রাশিয়ার ঘাড়ের কাছে ন্যাটো চলে এলে, সেটা ওনার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ট্রাম্প আরও বলেছেন যে ২০ জানুয়ারির আগে পুতিনের সঙ্গে দেখা করব না। তবে তার পরে, যে কোনওদিন দেখা হতেই পারে।
কূটনীতিক মহলের অনুমান, যুদ্ধ বন্ধে কোনও একটা সমঝোতা নিয়ে তবেই মুখোমুখি হবেন দুই মহা-শক্তিধর। তার আগে ইউক্রেনের উপর যতটা সম্ভব চাপ বাড়াতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন পুতিন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours