সোমবার বিকেলে শান্তিপুর পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে ভেজাল হলুদ তৈরি হচ্ছে। এরপর শান্তিপুর থানার বাগআছড়া এলাকা থেকে এলাকার এক মশলার কারখানায় বেআইনি ভাবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত ভেজাল হলুদ, তৈরি হচ্ছে।
বাজারে বিকচ্ছে দেদার নকল হলুদ, কীভাবে চিনবেন?
দেদার বিকোচ্ছে ভেজাল হলুদ
শান্তিপুর: রমরমিয়ে চলছিল ভেজাল মশলা তৈরির প্রক্রিয়া। বিষয়টি জেনে গিয়েছিল পুলিশও। তারপরই চলে অভিযান। ভেজাল হলুদ তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে ২ হাজার ২০০ কিলো নকল হলুদ সহ ভেজাল তার তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করলো শান্তিপুর থানার পুলিশ। শুধু তাই নয় পরে সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ জানিয়ে দিল নকল হলুদ চিনবেন কীভাবে।
সোমবার বিকেলে শান্তিপুর পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে ভেজাল হলুদ তৈরি হচ্ছে। এরপর শান্তিপুর থানার বাগআছড়া এলাকা থেকে এলাকার এক মশলার কারখানায় হানা দেয় তারা। সেখানে গিয়ে দেখে, বেআইনি ভাবে ভেজাল হলুদ তৈরি হচ্ছে। তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো, রং, চালের গুঁড়ো, কাঁচা গলুদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শান্তিপুর থানার পুলিশ বলেন, “আমরা জানতে পেরেছিলাম নকল মশলা তৈরি হচ্ছিল। ১০০ কিলো হলুদ গুঁড়োয় দশ কিলো আসল হলুদ ছিল। তার মধ্যে ৭০০ গ্রাম লাল রঙ ছিল। আর ২ কেজি লাল রঙ ঢালছিল। তারপর মেশানো হচ্ছিল আটা। সেই হলুদ গুঁড়ো কম দামে বিক্রি করা হচ্ছিল বাজারে। এই হলুদের রঙ একটু ফিকে। সেই দেখেই আমরা বুঝতে পারি।”
পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত দুই ব্যক্তির নাম পরিতোষ মল্লিক এবং লোকনাথ সাহা। এদের মধ্যে এই ভেজাল হলুদ তৈরির কারখানার মালিক হলেন লোকনাথ সাহা। আজ তাদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours