দর্শকের সঙ্গে কথোপকথন হোক কিংবা প্রচার তারকাদের জীবনে এখন অনেকটা জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। যে কারণে অনেকের যেমন উপকার হচ্ছে, তেমনই আবার নেতিবাচক পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হচ্ছে অনেক সময়। ইদানীং শোনা যায় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের ফলোয়ার্সের উপর নির্ভর করে তারকাদের কাজ পাবেন কি পাবেন না।


কাঞ্চন-অপরাজিতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় 'নো-এন্ট্রি' দর্শকের! এই পদক্ষেপ কি স্বস্তি দিচ্ছে তারকাদের?



দর্শকের সঙ্গে কথোপকথন হোক কিংবা প্রচার তারকাদের জীবনে এখন অনেকটা জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। যে কারণে অনেকের যেমন উপকার হচ্ছে, তেমনই আবার নেতিবাচক পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হচ্ছে অনেক সময়। ইদানীং শোনা যায় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের ফলোয়ার্সের উপর নির্ভর করে তারকাদের কাজ পাবেন কি পাবেন না। এই অভ্যাসের তীব্র বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। এমনকি কিছু করতে গেলে বা কোনও মন্তব্য করতে গেলে অনেক বার করে ভাবতে হয় তারকাদের। যেমন ২০২৪ সালে সমাজমাধ্য়মের পাতায় জঘন্য ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজকে। বিয়ের পর থেকেই দর্শকের নিশানায় তাঁরা। শ্রীয়মীকে বিয়ে করার পর থেকেই নোংরা মন্তব্যও শুনতে হয়েছে তাঁদের। তবে এখন অবশ্য কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সমাজমাধ্যমের পাতায় জনগণের ‘নো-এন্ট্রি’। কেউ চাইলেই নিজেদের মত দিতে পারবেন না। শুধু কাঞ্চন-শ্রীময়ী নন সেই তালিকায় রয়েছেন পরিচালক অরিন্দম শীল থেকে অপরাজিতা আঢ্য-সহ অনেকেই। কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রাখা কি তাঁদের মানসিক শান্তি দিয়েছে? এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ কিছু লাভ দেয়?

এ প্রসঙ্গে  বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে। তিনি বলেন,”আমি কাউকে কোনও উত্তর দেব না। আমার পছন্দের ছবি পোস্ট করতে গেলে কেন বার বার ভাবতে হবে। কেন অন্যের কথা সহ্য করতে হবে। লোকের কথা শুনব না। তাই কমেন্ট সেকশন বন্ধ রেখেছি।” অন্য দিকে অপরাজিতা আঢ্যরও সেই একই বক্তব্য। তিনি বলেন, “শুধু কি শারীরিক ধর্ষণটাই ধর্ষণ? মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্সে এসে যে এত নোংরা কথা বলে যায়, মুখে-মুখে শারীরিক নির্যাতনের কথা বলে যান, সেটা কি মানসিক ধর্ষণ নয়? বাধ্য হয়ে এখন অনেকেই কমেন্ট বক্স বন্ধ করে রাখেন। কোনওদিন গিয়ে পড়ে দেখবেন, অভিনেত্রীদের শরীর নিয়ে ঠিক কী-কী লিখে যায় এরা। এদের কোনও শাস্তি নেই। ”

তবে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত, ইউটিউবার তথা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার স্যান্ডি সাহার অবশ্য অন্য মত। নায়িকা বললেন, “কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রাখলেও কিন্তু মানুষের চরিত্র বদলাবে না। যাঁরা ট্রোলিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া করে তাঁদের মানসিকতার কোনও পরিবর্তনই হবে না। আমি এই পদক্ষেপ এখনও করিনি। আমি মনে করি যে ভুল করছে তার লজ্জা পাওয়া উচিত। যার সঙ্গে ভুল হচ্ছে তাঁর লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। আমার পরিবার, এবং বেশ কিছু কাছের মানুষ রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই তাঁদের যাতে খারাপ না লাগে সেই জন্য অনেক সময় খুব নোংরা মন্তব্য হলে তা মুছে দিই। তবে যাঁরা কমেন্টস সেকশন বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করেছেন সেটা অবশ্য়ই তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের জন্য নিজের কাছের জনদের দূরে রাখতে চাই না।” নিজের কনটেন্টের জন্য স্যান্ডিকেও অনেক ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যেক শিকার হতে হয়েছে। তাঁর মতে কোনও ভাবেই তিনি মন্তব্য বাক্স বন্ধ করে রাখতে চান না। বরং মানুষ এসে নিজেদের মতামত জানান সেই দরজা খোলা রাখতে চান। তবে স্যান্ডি বলেন, “যাঁরা যাঁরা কমেন্টস সেকশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা নিশ্চয় ভেবে চিন্তেই নিয়েছেন।”
Share To:
Next
This is the most recent post.
Previous
Older Post

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours