তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই এক নেতা। ২২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। মালদহ শহরের তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি।


মালদহে তৃণমূল নেতা খুনে ধরা পড়ে দলেরই 'বড় মাথা', সব জেনেও কেন চুপ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ?
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা (ফাইল ছবি)


মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে প্রথম থেকেই পরিবারের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল, এর পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে। সে তত্ত্বই দিয়েছিলেন শাসকমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে মৃতের স্ত্রী দাবি করছিলেন এর পিছনে দলেরই কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাই সত্যি হল। তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই এক নেতা। ২২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। মালদহ শহরের তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। গ্রেফতার হয়েছেন দলেরই আরও এক নেতা স্বপন শর্মা।


প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই এই খুন। মালদহ শহর তৃণমূলের সভাপতিকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠায় পুলিশ। রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই নিয়ে গ্রেপতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।

এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আগে থেকেই একাধিক ইস্যুতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, জমি দখল, রেলের রেকের কাজ, ঠিকাদারি পাওয়া, ট্রাকের লোডিং আনলোডিংয়ের ব্যবসা করতেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। আর তা দেখভাল করতেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির ভাইরা। ওই এলাকায় জমির দাম হু হু করে বেড়েছে। একাধিক প্রমোটিংয়ের কাজ, শপিং মল তৈরি হওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে ওই এলাকায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলছিল। আর সেক্ষেত্রে তৃণমূলের একাধিক নেতা-কাউন্সিলর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার সেক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। আর সে কারণেই তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours