রাজধানীতে নির্বাচনের আগে জোটে এই ফাটল দেখে ক্ষেপে যান ইন্ডিয়া জোটের শরিক, ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ওমর আবদুল্লাহ।
বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়?
আগামী মাসেই দিল্লিতে নির্বাচন। ভোটযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানী। ভোটের ডঙ্কা বাজতেই যুযুধান শাসক-বিরোধী। চলছে বাগযুদ্ধ। আর তার মাঝেই ফের জোটে জট। দিল্লির ভোটযুদ্ধে আসন সমঝোতা নিয়ে দ্বন্দ্ব এড়াতে অনেক আগেই লড়াইয়ে কংগ্রেসের সঙ্গী হওয়া থেকে বিরত থাকার ঘোষণা করেছিল আপ।
দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, দিল্লির নির্বাচনে জোট শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বরং একাই রণক্ষেত্রে নামবে আপ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর থেকে কংগ্রেসের মধ্যে একটি চাপা উত্তাপ তৈরি হয়েছিল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। আর সেই উত্তাপ আপাতত পরিণত হয়েছে বিস্ফোরকে।
অরবিন্দ কেজরীবালের দলকে দিল্লির নির্বাচনে তাদের ‘প্রতিপক্ষ’ বলেই দাবি করেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। একই সুর শোনা যায় দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দর যাদবের মুখেও। অবশ্য, এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে চুপ থাকে না আপ। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস আঁতাত গড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস পরিষ্কার করে দিচ্ছে ওরা বিজেপির বন্ধু। আপকে বারবার আক্রমণ করলেও বিজেপির প্রসঙ্গে চুপ তারা।’
উল্লেখ্য, রাজধানীতে নির্বাচনের আগে জোটে এই ফাটল দেখে ক্ষেপে যান ইন্ডিয়া জোটের শরিক, ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ওমর আবদুল্লাহ। তাঁর দাবি, ‘নির্বাচনের আবহে এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠকের ঘোষণা করেনি ইন্ডিয়া জোট। কে নেতৃত্বে দিচ্ছে? ভোটে জোটের অভিপ্রায়টাই বা কী? কোনও বিষয়ে সঠিক ধারণা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লির নির্বাচন শেষ হলে আমাদের একটি বৈঠক ডাকা উচিত এবং জোটের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। আর যদি এই জোটের লক্ষ্য যদি শুধুই লোকসভা নির্বাচন হয়ে থাকে। তবে এবার জোট ভেঙে দেওয়া উচিত। কিন্তু যদি বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও সুফল পেতে হয়, তবে আমাদের একত্র হয়ে কাজ করতে হবে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours