অন্ধকূপ থেকে বের করা হল এককালের দাউদের সঙ্গী ছোটা রাজনকে। সাইনাসের চিকিৎসার জন্য এদিন তাকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির এইমসে। নাকে হবে অস্ত্রপচারও।
তিহাড় থেকে সোজা এইমস! হাসপাতালে ভর্তি করা হল দাউদের-সঙ্গীকে
প্রাক্তন দাউদ-সঙ্গী ছোটা রাজন
তিহাড় থেকে সরাসরি দিল্লির এইমস। অন্ধকূপ থেকে বের করা হল এককালের দাউদের সঙ্গী ছোটা রাজনকে। সাইনাসের চিকিৎসার জন্য এদিন তাকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির এইমস হাসপাতালে। নাকে হবে অস্ত্রপচারও।
২০০১ সালে হোটেল মালিক জয়া শেট্টি খুনের ঘটনায় গত বছরই মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে নির্দেশে যাবজ্জীবন সাজা হয় ছোটা রাজনের। পাশাপাশি, এক সাংবাদিককে খুনের ঘটনাতেও ছোটা রাজনকে ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় নিম্ন আদালত। কিন্তু কয়েক মাস পেরোতেই বম্বে আদালত হোটেল মালিক খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ জানিয়ে ১ লক্ষ টাকার বন্ডে রাজনকে জামিন দেয়।
জামিন জুটলেও, জোটেনি জেলমুক্তি। সাংবাদিক খুনের রায়ের জেরে সেই জেলেই কাটাতে হয় জীবন। তিহাড়ের অন্ধকূপেই থাকতে হয় ছোটা রাজনকে।
এককালে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত পুলিশকে নাকানিচোবানি খাইয়েছে ছোটা রাজন। গোটা তিন দশক ধরে পুলিশের থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের এই সঙ্গী। অবশেষে ২০১৫ সালে, ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেফতার হয় সে। তারপর সেখান থেকে সরাসরি তাকে নিয়ে আসা হয় ভারতে। শুরু হয় বিচার।
২০২৩ সালে সিবিআই আদালতে মুম্বই ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ডক্টর দত্ত সামন্তের খুনের মামলায় রেহাই পান ছোটা রাজন। কিছু কিছু মামলা থেকে রেহাই মিললেও, গোটা দেশজুড়ে তার বিরুদ্ধে এতই অপরাধ মামলা দায়ের হয়েছে যে সহজে মুক্তি নেই এককালের দাউদ সঙ্গীর, দাবি একাংশের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours