আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে নরেন্দ্রনাথ চিৎকার করে বলতে থাকেন, "বড় মাথা রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বড় মাথার বিপদ।" স্বামীর খুনে বড় মাথার যোগের কথা বলেছিলেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার।



ওকে বাঁচাতেই আমাকে গ্রেফতার', 'সোনার খনি'র মালিকানার লড়াইয়ে তৃণমূল নেতা খুনে কার নাম বললেন ধৃত নেতা?
গ্রেফতার তৃণমূল সভাপতি


 মালদহ তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মালদহ শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। ২২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তিনি দাবি করছেন, দুলাল খুনের নেপথ্যে ছিল ‘বড় মাথা’। আর সেই নাম চাপতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কে এই বড় মাথা, কার দিকে ইঙ্গিত, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে নরেন্দ্রনাথ চিৎকার করে বলতে থাকেন, “বড় মাথা রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বড় মাথার বিপদ।” স্বামীর খুনে বড় মাথার যোগের কথা বলেছিলেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকায় ক্ষমতায় নিয়েই এই খুন। মালদহের ভবনী মোড় এলাকা থেকে জ্বলজলিয়া, মহানন্দাপল্লি সার্বিক এলাকা ‘সোনার খনি’ হয়ে উঠছিল। সেখানে বড় বড় কমপ্লেক্স, শপিং মল, রেস্তোরাঁ তৈরি হচ্ছিল। নজর পড়েছিল প্রমোটারদের। যাঁদের পিছনে বড় বড় নেতা রয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

স্ত্রী চৈতালি বলেন, “দুলালের মাথায় গুলি করার জন্য যে দুঃসাহসের প্রয়োজন, তার পিছনে অনেক বড় মাথারই থাকার কথা। আরও যদি কোনও মাথা থেকে থাকে, সেটা সামনে আসুক। নেত্রীর ওপর ভরসা রয়েছে। আমার তো অনেকেরই কথা মনে হচ্ছে। পুলিশ সেটা বার করবে।”

উল্লেখ্য, এই খুনের নেপথ্যে থাকতে পারেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, সে সন্দেহ ছিল খোদ ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। তিনি বলেছিলেন, “দুলালকে মারবই বলেছিলেন নরেন্দ্রনাথ। আমাদের পৌরসভা ভোটের পরই নরেন্দ্রনাথ অনেককে বলেছিল, আমি দুলাল সরকারকে মারবই। আমাদের অনেকদিন ধরেই সন্দেহ ছিল। আবার দ্বিতীয় স্বপন শর্মা। সিপিএমের কন্টাক্ট কিলার। ও তো প্রচুরবার আমার ওপর হামলা করেছিল। এটা রাজনৈতিক নয়। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতেই খুন।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours