মানসিকভাবে সে সাধারণের থেকে একটু আলাদা। সমাজ তাকে পরিচয় দিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীনের। কিন্তু তাই বলে কি তার মা হওয়ার অধিকার নেই?

মা হওয়ার অধিকার নেই মানসিক ভারসাম্যহীনদের, প্রশ্ন তুলল আদালত
বম্বে হাইকোর্ট


মানসিকভাবে সে সাধারণের থেকে একটু আলাদা। সমাজ তাকে পরিচয় দিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীনের। কিন্তু তাই বলে কি তার মা হওয়ার অধিকার নেই? এমনটাই প্রশ্ন তুলল খোদ বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি ঘুগে ও রাজেশ পাটিলের বেঞ্চে চলছিল শুনানি। ২৭ বছর বয়সী এক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন মহিলার বাবা তার মেয়ের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতেই এমন প্রশ্ন ছোড়েন বিচারপতিরা।

মামলাকারীর দাবি, তাঁর কন্যা গর্ভপাত করতে রাজি নয়। কিন্তু সে অবিবাহিতা এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। ফলত একজন সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। অবশ্য, তার এই দাবির ভিত্তিতে মুম্বইয়ের এক সরকারি হাসপাতালে সেই মহিলাকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মহিলাটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন কিন্তু সাধারণের থেকে তার বুদ্ধি খুব সামান্যতমই কম। যা চিকিৎসাযোগ্য এবং ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক হওয়ারও সম্ভবনাও অনেকটা বেশি।

শুধু তা-ই নয়, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার শরীরে বড় হওয়া ভ্রুণটি একেবারেই স্বাভাবিক। এখনও পর্যন্ত সেটিতে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি এবং মহিলা নিজেও গর্ভাবস্থা ধরে রাখার জন্য শারীরিকভাবে সাবলম্বী।

হাসপাতালের এই রিপোর্টের ভিত্তি মহিলার অভিভাবকের দিকে প্রশ্ন ছোড়ে আদালত। ২০১১ সাল থেকে কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে,জানা গিয়েছে আদালত সূত্রে। যার জেরে মানসিক বিকার থেকে উন্নতির কোনও জায়গাই তৈরি হয়নি বললেই চলে। এছাড়াও, যার জন্য মহিলা গর্ভবতী হয়েছেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারকে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে একটি মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours