January 2025

দর্শকের সঙ্গে কথোপকথন হোক কিংবা প্রচার তারকাদের জীবনে এখন অনেকটা জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। যে কারণে অনেকের যেমন উপকার হচ্ছে, তেমনই আবার নেতিবাচক পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হচ্ছে অনেক সময়। ইদানীং শোনা যায় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের ফলোয়ার্সের উপর নির্ভর করে তারকাদের কাজ পাবেন কি পাবেন না।


কাঞ্চন-অপরাজিতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় 'নো-এন্ট্রি' দর্শকের! এই পদক্ষেপ কি স্বস্তি দিচ্ছে তারকাদের?



দর্শকের সঙ্গে কথোপকথন হোক কিংবা প্রচার তারকাদের জীবনে এখন অনেকটা জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। যে কারণে অনেকের যেমন উপকার হচ্ছে, তেমনই আবার নেতিবাচক পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হচ্ছে অনেক সময়। ইদানীং শোনা যায় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের ফলোয়ার্সের উপর নির্ভর করে তারকাদের কাজ পাবেন কি পাবেন না। এই অভ্যাসের তীব্র বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। এমনকি কিছু করতে গেলে বা কোনও মন্তব্য করতে গেলে অনেক বার করে ভাবতে হয় তারকাদের। যেমন ২০২৪ সালে সমাজমাধ্য়মের পাতায় জঘন্য ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজকে। বিয়ের পর থেকেই দর্শকের নিশানায় তাঁরা। শ্রীয়মীকে বিয়ে করার পর থেকেই নোংরা মন্তব্যও শুনতে হয়েছে তাঁদের। তবে এখন অবশ্য কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সমাজমাধ্যমের পাতায় জনগণের ‘নো-এন্ট্রি’। কেউ চাইলেই নিজেদের মত দিতে পারবেন না। শুধু কাঞ্চন-শ্রীময়ী নন সেই তালিকায় রয়েছেন পরিচালক অরিন্দম শীল থেকে অপরাজিতা আঢ্য-সহ অনেকেই। কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রাখা কি তাঁদের মানসিক শান্তি দিয়েছে? এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ কিছু লাভ দেয়?

এ প্রসঙ্গে  বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে। তিনি বলেন,”আমি কাউকে কোনও উত্তর দেব না। আমার পছন্দের ছবি পোস্ট করতে গেলে কেন বার বার ভাবতে হবে। কেন অন্যের কথা সহ্য করতে হবে। লোকের কথা শুনব না। তাই কমেন্ট সেকশন বন্ধ রেখেছি।” অন্য দিকে অপরাজিতা আঢ্যরও সেই একই বক্তব্য। তিনি বলেন, “শুধু কি শারীরিক ধর্ষণটাই ধর্ষণ? মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্সে এসে যে এত নোংরা কথা বলে যায়, মুখে-মুখে শারীরিক নির্যাতনের কথা বলে যান, সেটা কি মানসিক ধর্ষণ নয়? বাধ্য হয়ে এখন অনেকেই কমেন্ট বক্স বন্ধ করে রাখেন। কোনওদিন গিয়ে পড়ে দেখবেন, অভিনেত্রীদের শরীর নিয়ে ঠিক কী-কী লিখে যায় এরা। এদের কোনও শাস্তি নেই। ”

তবে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত, ইউটিউবার তথা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার স্যান্ডি সাহার অবশ্য অন্য মত। নায়িকা বললেন, “কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রাখলেও কিন্তু মানুষের চরিত্র বদলাবে না। যাঁরা ট্রোলিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া করে তাঁদের মানসিকতার কোনও পরিবর্তনই হবে না। আমি এই পদক্ষেপ এখনও করিনি। আমি মনে করি যে ভুল করছে তার লজ্জা পাওয়া উচিত। যার সঙ্গে ভুল হচ্ছে তাঁর লজ্জা পাওয়া উচিত নয়। আমার পরিবার, এবং বেশ কিছু কাছের মানুষ রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই তাঁদের যাতে খারাপ না লাগে সেই জন্য অনেক সময় খুব নোংরা মন্তব্য হলে তা মুছে দিই। তবে যাঁরা কমেন্টস সেকশন বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করেছেন সেটা অবশ্য়ই তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের জন্য নিজের কাছের জনদের দূরে রাখতে চাই না।” নিজের কনটেন্টের জন্য স্যান্ডিকেও অনেক ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যেক শিকার হতে হয়েছে। তাঁর মতে কোনও ভাবেই তিনি মন্তব্য বাক্স বন্ধ করে রাখতে চান না। বরং মানুষ এসে নিজেদের মতামত জানান সেই দরজা খোলা রাখতে চান। তবে স্যান্ডি বলেন, “যাঁরা যাঁরা কমেন্টস সেকশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা নিশ্চয় ভেবে চিন্তেই নিয়েছেন।”

টলিপাড়ার অন্দরে আবারও ভাঙনের সুর। স্টুডিয়োপাড়ার ইতিউতি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সিরিয়াল পাড়ার জনপ্রিয় লেখিকার সংসারেই নাকি ভাঙন ধরেছে। এদিকে সেই মানুষটিই প্রতিদিন এমনই ভাঙা গড়ার গল্প বলেন দর্শককে।
ত্রিকোণ প্রেম! ফের ভাঙনের গুঞ্জন, ডিভোর্সের পথে জনপ্রিয় লেখিকার ছেলে?


টলিপাড়ার অন্দরে আবারও ভাঙনের সুর। স্টুডিয়োপাড়ার ইতিউতি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সিরিয়াল পাড়ার জনপ্রিয় লেখিকার সংসারেই নাকি ভাঙন ধরেছে। এদিকে সেই মানুষটিই প্রতিদিন এমনই ভাঙা গড়ার গল্প বলেন দর্শককে। যার লেখায় প্রতিদিন সুখী সংসার, সম্পর্ক বন্ধনের কাহিনি উঠে আসে।

সেই নেপথ্য নায়িকার সংসারেই নাকি অশান্তি। শোনা যাচ্ছে, লেখিকার পুত্র এবং পুত্রবধূ নাকি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এ প্রসঙ্গে কেউ প্রকাশ্য়ে কোনও মন্তব্য করেননি এখনও। কিন্তু অন্দরের খবর টলিপাড়ারই এক নায়িকার সঙ্গে নাকি শহরের বাইরে একত্রবাসে রয়েছেন লেখিকার ছেলে। তিনিও ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেরই মানুষ। ছোট পর্দার পরিচালক হিসাবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।

তাঁর তত্‍কালীন স্ত্রীও অভিনয় করতেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, অনেক দিন ধরেই নাকি তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছে। ডিভোর্স ফাইলও করে ফেলেছেন তাঁরা। কিন্তু চূড়ান্ত হওয়া নাকি এখনও বাকি। টলিপাড়ার অন্দরে ভাঙা-গড়ার কাহিনি এই নতুন নয়। কখন যে কোথায় কী ঘটে তার হদিশ পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই লেখিকার সংসারে ভাঙনের খবর স্টুডিয়ো পাড়ার বাতাসে উড়লেও ‘স্পিকটি নট’ সবাই। যদিও নিন্দকেরা বলছে ভাঙনের আভাস নাকি পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। তাই নাকি তড়িঘড়ি দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট স্ত্রীয়ের নামে লিখে দেন ছোট পর্দার পরিচালক তথা প্রযোজক। উল্লেখ্য, হাতে নাকি এখনও ছ’মাস সময় আছে। তার পরেই নাকি চূড়ান্ত হবে সব কিছু।

মানসিকভাবে সে সাধারণের থেকে একটু আলাদা। সমাজ তাকে পরিচয় দিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীনের। কিন্তু তাই বলে কি তার মা হওয়ার অধিকার নেই?

মা হওয়ার অধিকার নেই মানসিক ভারসাম্যহীনদের, প্রশ্ন তুলল আদালত
বম্বে হাইকোর্ট


মানসিকভাবে সে সাধারণের থেকে একটু আলাদা। সমাজ তাকে পরিচয় দিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীনের। কিন্তু তাই বলে কি তার মা হওয়ার অধিকার নেই? এমনটাই প্রশ্ন তুলল খোদ বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি ঘুগে ও রাজেশ পাটিলের বেঞ্চে চলছিল শুনানি। ২৭ বছর বয়সী এক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন মহিলার বাবা তার মেয়ের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতেই এমন প্রশ্ন ছোড়েন বিচারপতিরা।

মামলাকারীর দাবি, তাঁর কন্যা গর্ভপাত করতে রাজি নয়। কিন্তু সে অবিবাহিতা এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। ফলত একজন সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। অবশ্য, তার এই দাবির ভিত্তিতে মুম্বইয়ের এক সরকারি হাসপাতালে সেই মহিলাকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মহিলাটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন কিন্তু সাধারণের থেকে তার বুদ্ধি খুব সামান্যতমই কম। যা চিকিৎসাযোগ্য এবং ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক হওয়ারও সম্ভবনাও অনেকটা বেশি।

শুধু তা-ই নয়, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার শরীরে বড় হওয়া ভ্রুণটি একেবারেই স্বাভাবিক। এখনও পর্যন্ত সেটিতে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি এবং মহিলা নিজেও গর্ভাবস্থা ধরে রাখার জন্য শারীরিকভাবে সাবলম্বী।

হাসপাতালের এই রিপোর্টের ভিত্তি মহিলার অভিভাবকের দিকে প্রশ্ন ছোড়ে আদালত। ২০১১ সাল থেকে কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে,জানা গিয়েছে আদালত সূত্রে। যার জেরে মানসিক বিকার থেকে উন্নতির কোনও জায়গাই তৈরি হয়নি বললেই চলে। এছাড়াও, যার জন্য মহিলা গর্ভবতী হয়েছেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারকে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে একটি মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত।

বুধবার কালচিনি থানার ওসি গৌরব হাঁসদা ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই অভিযান চলে। সব ফসল নষ্ট করে দেওয়া হল তড়িঘড়ি।



বিঘার পর বিঘা জুড়ে ভুট্টা চাষ হতে 


আলিপুরদুয়ার : ভুট্টা চাষের আড়ালে চলছিল অবৈধ পোস্ত চাষ। খবর পেয়ে পোস্ত চাষের জমি নষ্ট করল পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার এক বাসিন্দার প্রায় চার বিঘারও বেশি জমি লিজে নিয়ে সেখানে ভুট্টা চাষ করা হচ্ছিল। অন্তত সবাই তাই দেখছিল। কিন্তু তার আড়ালে কী চলছিল, সেই তথ্য সামনে আসে সম্প্রতি।

পোস্ত চাষের খবর পেয়ে বুধবার চাষের জমিতে দুটি ট্রাক্টর লাগিয়ে পুরো পোস্ত চাষের জমি নষ্ট করা হয়। প্রায় এক থেকে দু’মাস আগে এই পোস্ত চাষের বীজ রোপণ করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। বুধবার কালচিনি থানার ওসি গৌরব হাঁসদা ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই অভিযান চলে।

পাশাপাশি, এলাকার অন্যান্য জমিতেও কোনও অবৈধ চাষ হচ্ছে কি না তা খুঁজে বের করতেও চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। মঙ্গলবারও চার বিঘে জমিতে অবৈধ পোস্ত চাষ নষ্ট করে দিয়েছিল পুলিশ। কালচিনি ব্লক জুড়ে এই ধরনের অবৈধ পোস্ত চাষ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে পুলিশ প্রশাসন।

প্রতি দিনই ছেলে মেয়ের নানা মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে থাকেন তাঁরা। শত ব্যস্ততার মাঝেও তাঁদের জীবনের গুরুত্ব হল পরিবার। তাঁরা হলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তী। ছবির শুটিং, পরিচালনা, প্রচার সেই সঙ্গে নানা ধরনের ইভেন্ট এ সব ব্যস্ততা তো রয়েছেই তাঁদের।


বক্সিং গ্লাভস পরে বাবা রাজের সঙ্গে খুনসুটি ইয়ালিনির, দেখুন ভিডিয়ো
প্রতি দিনই ছেলে মেয়ের নানা মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে থাকেন তাঁরা। শত ব্যস্ততার মাঝেও তাঁদের জীবনের গুরুত্ব হল পরিবার। তাঁরা হলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তী। ছবির শুটিং, পরিচালনা, প্রচার সেই সঙ্গে নানা ধরনের ইভেন্ট এ সব ব্যস্ততা তো রয়েছেই তাঁদের। সেই সঙ্গে রাজের উপরি দায়িত্ব হল ব্যারাকপুর। তৃণমূল বিধায়ক তিনি। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও তাঁদের জীবনে সবকিছুর উপরে রয়েছে পরিবার। তাই তো মেয়ে ইয়ালিনি , ছেলে ইউভানের বড় হয়ে ওঠার কোনও মুহূর্ত মিস করতে চান না তাঁরা। সুযোগ পেলেই ফ্রেমবন্দি করে রাখেন আদরের দুই সন্তানকে। বুধবার সকাল সকাল এমনই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করলেন রাজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে ইয়ালিনি একটা বক্সিং গ্লাভস হাতে নিয়ে কসরত করেই চলেছে। একরত্তির সেই মজার কাণ্ড ফ্রেমবন্দি করে রেখেছেন নায়িকা এবং পরিচালক। যা দেখে অনেকেই বেশ মজাও পেয়েছেন।





ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে টলমল পায়ে হাতে বক্সিং গ্লাভস নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সে। তার পর গুটি গুটি পায়ে মা-বাবার দিকে এগিয়ে এসেছে একরত্তি ইয়ালিনি। সেই সঙ্গে আবার বক্সিং গ্লাভস দিয়ে মা-বাবার সঙ্গে খুনসুটি করার চেষ্টা করছে। মেয়ের কাণ্ড দেখে গদগদ বাবা রাজ। মেয়েকে কী ভাবে আদর করবে বুঝতেই পারছিলেন না। আর পাশে বসে ঠাকুমাও নাতনির কাণ্ড দেখে হেসে কুল পাচ্ছেন না। বক্সিং গ্লাভস নিয়ে খেলতে খেলতে বাবা বাবা বলতে বলতে রাজকে জড়িয়ে ধরল ইয়ালিনি। এমনই এক আদুরে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী এবং পরিচালক তাঁদের সমাজমাধ্য়মের পাতায়। গত নভেম্বরে এক বছরে পা দিয়েছে ইয়ালিনি। আপাতত ছেলে-মেয়ের নানা কাণ্ড দেখেই সময় কেটে যায় তাঁদের।

এই বছর ক্লাব ও বারোয়ারী মিলে মোট ২৯ টি পুজো হচ্ছে এলাকায়। সকাল থেকে প্রতিটি তাঁতঘরে চলছে তাঁতের পুজো। এই পুজোর পর থেকে শুরু হয়ে যায় দুর্গোপুজোর জন্য শাড়ি বুননের কাজ।

পৌষ মাসে বিশ্বকর্মা পুজো? বাহন আবার হাতির বদলে ঘোড়া, কোথায় হচ্ছে এই অকাল পুজো
পুজো ঘিরে তুমুল উন্মাদনা গ্রামে



 অকাল বিশ্বকর্মা পুজোয় মেতেছে হুগলীর বেগমপুর। তবে এখানে বিশ্বকর্মার বাহন হাতি নয় ঘোড়া। পৌষ মাসের শুক্লা পক্ষের নবমী তিথি অনুযায়ী এদিন থেকে শুরু হয়েছে তন্তুবায় সম্প্রদায়ের বিশ্বকর্মা পুজো। দুর্গাপুজোর ৯০ দিন পর এই পুজো শুরু হয়। প্রতি বছরের মত এই বছর অকাল বিশ্বকর্মা পুজোয় মেতেছে হুগলির চন্ডীতলা থানার বেগমপুরের ছোটোতাজপুর, দক্ষিণ খরসরাই ও মনিরামপুর গ্রাম-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জন। বুধবার থেকে চারদিনব্যাপী চলবে এই পুজো। পুজোকে ঘিরে বসেছে মেলা। গ্রামবাসীরা এদিন একত্রিত হয়ে সরস্বতী নদীর ধারে ঘুড়িও ওড়ান। 

এই বছর ক্লাব ও বারোয়ারী মিলে মোট ২৯ টি পুজো হচ্ছে এলাকায়। সকাল থেকে প্রতিটি তাঁতঘরে চলছে তাঁতের পুজো। এই পুজোর পর থেকে শুরু হয়ে যায় দুর্গোপুজোর জন্য শাড়ি বুননের কাজ। তাই ভাদ্রমাসে বিশ্বকর্মা পুজোর সময় গ্রামে তাঁতঘরগুলিতে ব্যস্ততার জন্য সেই সময় তাঁরা ভাদ্র মাসের বিশ্বকর্মা পুজো করতে পারেন না। তাই এই সময় অকাল বিশ্বকর্মা পুজোতে মেতে ওঠে আট থেকে আশি সকলেই। তবে এই বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে হাতির বদলে ঘোড়া থাকে। এখানেও রয়েছে এক অদ্ভুত কারণ। 


অনুষ্ঠানে রাজ‌্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'প্রথম হওয়া সহজ। গুরুত্বপূর্ণ হল, পরবর্তী পরিচর্যাটা। যত দিন না ভারতীয় টিমে বাংলার সাত জন প্লেয়ার থাকবে, তত দিন ভারতীয় ফুটবল এগোবে না। কিন্তু সমস‌্যা হল, কলকাতা লিগে আবার এগারো জন ফুটবলারের মধ‌্যে সাত জন বাইরের প্লেয়ার খেলে। তা হলে কী করে উন্নতি হবে?'



সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার ভবানীপুর ক্লাবের


সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে এ দিন সংবর্ধনা দিল ভবানীপুর ক্লাব। অনুষ্ঠানে সন্তোষ ট্রফি জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন-সহ উপস্থিত ছিল চ‌্যাম্পিয়ন বাংলা দল। তবে রবি হাঁসদা এবং ইসরাফিল দেওয়ান উপস্থিত থাকতে পারেননি ক্লাবের প্র্যাক্টিস থাকায়। রবি হাঁসদা সদ্য আইএসএলের ক্লাব মহমেডানে যোগ দিয়েছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভবানীপুর ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চ‌্যাম্পিয়ন বাংলা দলকে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। কোচ-ফুটবলারদের প্রত‌্যেককে ঘড়িও দেওয়া হয়।

ক্লাবের এই অনুষ্ঠানে সঞ্জয় সেন এবং বাংলা দলের ফুটবলাররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ‌্যের ক্রীড়া ও যুবকল‌্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ভবানীপুর ক্লাবের কর্ণধার স্বপনসাধন (টুটু) বোস, প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, কম্পটন দত্ত, অতনু ভট্টাচার্য, দেবজিৎ ঘোষ, শিল্টন পাল, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, মোহনবাগান সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ, আইএফএ চেয়ারম‌্যান সুব্রত দত্ত, মহামেডান সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু, কার্যনির্বাহী সভাপতি কামারউদ্দিন প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সন্তোষ জয়ী বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন বলেন, ‘আমি শুধু নিজের কাজটা সৎভাবে করেছি। আমি মনে করি, সৎভাবে নিজের কাজটা করে গেলে একদিন না একদিন ফল পাওয়া যায়। দেখুন, আগে যে সব বাংলা টিম সন্তোষ ট্রফি চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের সঙ্গে এবারের টিমের কোনও তুলনা চলে না। কারণ, আগে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়াররা রোভার্স-ডুরান্ড খেলে সন্তোষ ট্রফি খেলতে যেত। কিন্তু এখন আর মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ারদের সন্তোষ ট্রফিতে পাওয়া যায় না। আইএসএল-আই লিগ খেলা প্লেয়ারদেরও না। তাই আগের বত্রিশবার সন্তোষজয়ী বাংলা টিমের চেয়ে এবারের বাংলা টিমের কাজ অনেক বেশি কঠিন ছিল।’

পালিয়ে বিয়ে করেছে ভাগ্নি। রেগে লাল মামা। বদলা নিতে শেষমেশ খাবারে বিষ মেশানোর চেষ্টা।



পালিয়ে বিয়ে করেছে ভাগ্নি, রেগে লাল মামা! বিষের শিশি হাতে পৌঁছল বিয়ে বাড়িতে, তারপর...
প্রতীকী ছবি


পালিয়ে বিয়ে করেছে ভাগ্নি। রেগে লাল মামা। বদলা নিতে শেষমেশ খাবারে বিষ মেশানোর চেষ্টা। পলাতক অভিযুক্ত। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই খবর।

ঘটনা মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের জেলার উত্রে গ্রামের। নিজের ভাগ্নির বিয়ের অনুষ্ঠানের ভোজে বিষ মেশানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত খোদ মামা। অনুষ্ঠানের ফাঁকেই খাবারে বিষ মেশানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত মহেশ পাটিল। তবে চুপিসাড়ে কাজ সারতে গিয়ে ধরা খেয়ে বসেন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে পালান ঘটনাস্থল ছেড়ে। ইতিমধ্যে মামার বিরুদ্ধে বেঁকে বসেছে ভাগ্নি ও তাঁর পরিবার। দায়ের হয়েছে মামলাও।

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই পালিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করেন অভিযুক্তের ভাগ্নি। অনুমতি ছাড়াই এই রকম কাণ্ড ঘটানোয় বেঁকে বসেন মামা। ক্ষেপে যান প্রচণ্ড। মেয়ের পরিবার মেনে নিলেও গোটা ঘটনাটিকে বারবার বিষয়টিকে ‘ন্যক্কারজনক’ বলে দাবি করতে থাকেন অভিযুক্ত। আর সেই রাগ থেকেই নাকি বিয়ে বাড়ির খাবারে বিষ মেশানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ন্যয় সংহিতার যথাক্রমে ২৮৬ ও ১২৫ ধারার ভিত্তিতে পানহালা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই থানার সাব-ইন্সপেক্টর জানান, ‘সম্প্রতি অভিযুক্তের ভাগ্নি গ্রামেরই একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ও পালিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে কোনও ভাবেই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত মামা। সেই কারণেই তার মনে তৈরি হয় প্রতিশোধ স্পৃহা। সম্মানহানির বদলা নিতে ভাগ্নির বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান খাবারে বিষ মেশাতে। কিন্তু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে গিয়ে ধরা খায় সে। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান তিনি।’

ভারতে প্রথমবার এরকম একটি পরিষেবা দিচ্ছে বিএসএনএল। গ্রাহকরা এই অফারে আকৃষ্ট হবে বলেই আশা সংস্থার।


ফের BSNL-এর লোভনীয় অফার, লাগবে না কোনও সেট টপ বক্স, ঝকঝকে ৫০০টি চ্যানেল দেখবেন কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই

সম্প্রতি গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে বিএসএনএল-(BSNL)-এর। কিছুদিন আগেই কানেকশন নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছিল। সে সব মিটে গিয়েছে। আপাতত বিএসএনএল গ্রাহকদের আর কোনও অভিযোগ নেই। এরই মধ্যে আরও এক নতুন অফার সামনে আনল বিএসএনএল। কোনও সেট টপ বক্স লাগবে না। ৫০০ খানা চ্যানেলে দেখা যাবে একেবারে ঝকঝকে ছবি।

BSNL ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট প্রোটোকল ভিত্তিক IFTV পরিষেবা চালু করেছে। আৎ সেই পরিষেবায় কোনও সেট-টপ বক্স ছাড়াই বিনামূল্যে ৫০০-টিরও বেশি লাইভ টিভি চ্যানেল দেখতে পারবেন গ্রাহকরা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ব্রডব্যান্ড কানেকশনের মাধ্যমেই HD মানের লাইভ টিভি চ্যানেল দেখা যাবে। যদি বাড়িতে একটি পুরনো এলসিডি বা এলইডি টিভি থাকে, তাহলে ‘ফায়ার স্টিক’ জুড়ে সহজেই BSNL-এর IFTV পরিষেবা পাওয়া যাবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএনএল ঘোষণা করেছে যে তারা গুজরাটেও তাদের IFTV পরিষেবা শুরু করেছে। এর আগে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পঞ্জাবে। পঞ্জাবে বিএসএনএল এই উদ্যোগের জন্য স্কাইপ্রো-র সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে। এছাড়া BSNL সম্প্রতি পুদুচেরিতে ডাইরেক্ট-টু-মোবাইল (D2M) পরিষেবাও চালু করেছে, যা BiTV নামে পরিচিত। এই পরিষেবার মাধ্যমে, মোবাইল ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ৩০০-টিরও বেশি লাইভ টিভি চ্যানেল দেখতে পারবেন।

IFTV পরিষেবা হল ভারতে প্রথম ফাইবার-ভিত্তিক ইন্টারনেট টিভি পরিষেবা। কোনও বাধা ছাড়াই টিভিতে পছন্দের চ্যানেল দেখা যাবে। কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই এই IFTV পরিষেবাটি পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। গ্রাহকরা এই অফারে আকৃষ্ট হবে বলেই আশা সংস্থার।

কোথাও ৫০০, কোথাও আবার ৭০০ মিটার অন্তর অন্তর একজন করে জওয়ান। অন্ধকারে ডুবে গেলে আলোর সামান্য দেখাও মেলে না। সার্চলাইট এবং অন্ধকারে চোখের উপর ভরসা করতে হয় জওয়ানদের।নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও জওয়ানদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হয়।


নদীর জলই বানিয়ে দেয় অনুপ্রবেশের রাস্তা, ব্ল্যাক স্পটে কীভাবে পাহারা দেয় BSF দেখুন
বিএসএফ জওয়ানরা কীভাবে পাহারা দেয় সীমান্ত?


দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অন্তর্গত সীমানায় ১৩৫টি ব্ল্যাক স্পট এলাকার কথা জানানো হয়েছিল বিএসএফের রিপোর্টে। যেগুলো দিয়ে মূলত অনুপ্রবেশ বারবার ঘটেছে বা পাচারকার্যে করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সেই রকমই একটি জায়গায় পৌঁছল টিভি ৯ বাংলা।


 

উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তরালি – ১ অর্ডার আউট পোস্ট এলাকার অন্তর্গত সোনাই নদী সংলগ্ন এলাকা। নদীর একদিকে ভারতীয় ভূখণ্ডের তরালি- ১ এলাকা, অন্যদিকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কেড়াগাছি এলাকা। নেই কাঁটাতার। নেই কোনও আলোর ব্যবস্থা। নদীর গভীরতা ১৪-১৫ ফুট থাকলেও নদীর চওড়া ক্রমশ কমতে কমতে নালায় পরিণত হয়েছে। অন্ধকার নেমে এলেও কুয়াশার গভীরতার মধ্যে দাঁড়িয়ে নজরদারি চালিয়ে যেতে হয় বিএসএফ জওয়ানদের।

কোথাও ৫০০, কোথাও আবার ৭০০ মিটার অন্তর অন্তর একজন করে জওয়ান। অন্ধকারে ডুবে গেলে আলোর সামান্য দেখাও মেলে না। সার্চলাইট এবং অন্ধকারে চোখের উপর ভরসা করতে হয় জওয়ানদের।নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও জওয়ানদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হয়। তবে জওয়ানদের মূল লড়াই শুরু হয় অন্ধকার নামতেই। ওপার থেকে এপারে অথবা এপার থেকে ওপারে মাদক হোক বা অন্যান্য সামগ্রী জলের মধ্যে থেকে নিমেষে পাচার হয়ে যায়।

এমনকী, নদীর জলকে হাতিয়ার করে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের দিকে সহজেই চলে আসে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই এই অংশে অনুপ্রবেশকারীদের কাজকর্ম দেখা গিয়েছে।সেকারণেই বাড়তি বাহিনী এই অংশে মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ রোখা গিয়েছে তা বলছেন না বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি উপর নজরদারি যে বেড়েছে তাও এক বাক্যে মানছেন তারা।



৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


ঝিনাইদহ 'দখল' নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, বাংলাদেশের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ
ফাইল চিত্র।


 আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বাংলাদেশ দাবি করে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। গতকাল, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ঝিনাইদহের মাটিলা গ্রামের ৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা বিজিবি পুনরায় দাবি করার বিষয়ে ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ মিডিয়া চ্যানেলে প্রকাশিত নিবন্ধটি ভিত্তিহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং সত্য ও যোগ্যতার বঞ্চিত।

বিএসএফ জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদাহ ব্লকের রাংঘাট গ্রামের, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে।নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আইবি বা বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিএসএফ এবং বিজিবি- উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে।

ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখন্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।

‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫’-এর বোঝাপড়া অনুসারে প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীনে- এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ বিজিবি সদস্যরা নদীর উপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টা টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়।

৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।



আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে নরেন্দ্রনাথ চিৎকার করে বলতে থাকেন, "বড় মাথা রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বড় মাথার বিপদ।" স্বামীর খুনে বড় মাথার যোগের কথা বলেছিলেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার।



ওকে বাঁচাতেই আমাকে গ্রেফতার', 'সোনার খনি'র মালিকানার লড়াইয়ে তৃণমূল নেতা খুনে কার নাম বললেন ধৃত নেতা?
গ্রেফতার তৃণমূল সভাপতি


 মালদহ তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মালদহ শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। ২২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তিনি দাবি করছেন, দুলাল খুনের নেপথ্যে ছিল ‘বড় মাথা’। আর সেই নাম চাপতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কে এই বড় মাথা, কার দিকে ইঙ্গিত, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে নরেন্দ্রনাথ চিৎকার করে বলতে থাকেন, “বড় মাথা রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বড় মাথার বিপদ।” স্বামীর খুনে বড় মাথার যোগের কথা বলেছিলেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকায় ক্ষমতায় নিয়েই এই খুন। মালদহের ভবনী মোড় এলাকা থেকে জ্বলজলিয়া, মহানন্দাপল্লি সার্বিক এলাকা ‘সোনার খনি’ হয়ে উঠছিল। সেখানে বড় বড় কমপ্লেক্স, শপিং মল, রেস্তোরাঁ তৈরি হচ্ছিল। নজর পড়েছিল প্রমোটারদের। যাঁদের পিছনে বড় বড় নেতা রয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

স্ত্রী চৈতালি বলেন, “দুলালের মাথায় গুলি করার জন্য যে দুঃসাহসের প্রয়োজন, তার পিছনে অনেক বড় মাথারই থাকার কথা। আরও যদি কোনও মাথা থেকে থাকে, সেটা সামনে আসুক। নেত্রীর ওপর ভরসা রয়েছে। আমার তো অনেকেরই কথা মনে হচ্ছে। পুলিশ সেটা বার করবে।”

উল্লেখ্য, এই খুনের নেপথ্যে থাকতে পারেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, সে সন্দেহ ছিল খোদ ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। তিনি বলেছিলেন, “দুলালকে মারবই বলেছিলেন নরেন্দ্রনাথ। আমাদের পৌরসভা ভোটের পরই নরেন্দ্রনাথ অনেককে বলেছিল, আমি দুলাল সরকারকে মারবই। আমাদের অনেকদিন ধরেই সন্দেহ ছিল। আবার দ্বিতীয় স্বপন শর্মা। সিপিএমের কন্টাক্ট কিলার। ও তো প্রচুরবার আমার ওপর হামলা করেছিল। এটা রাজনৈতিক নয়। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতেই খুন।”



সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অটোর প্যাসেঞ্জার সিটের সামনে ঝোলানো হয়েছে অটোয় চড়ার নিয়ম। সাফ লেখা রয়েছে, অটোয় কোনও রোম্যান্স করা যাবে না। যাত্রীদের সভ্য-ভদ্র ও সংযত আচরণ করতে হবে।
'
এটা OYO নয়', অটোয় ফুটন্ত যৌবনের 'রোম্যান্স' আটকাতে পোস্টার চালকের!
ভাইরাল পোস্ট।

প্রেম করার জায়গা নয় অটো! অটোয় উঠে করা যাবে না রোমান্স। নিজেকে সংযত রাখতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সহযাত্রীর সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই পোস্ট। অটোয় যাত্রীদের জন্য আচরণবিধি বেঁধে দিয়েছেন চালক।

সম্প্রতিই ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্ট। হোটেল বুকিং সংস্থা ওয়ো (OYO)-র তরফে মিরাটে নিয়ম চালু করা হয়েছে, যেখানে সাফ বলা হয়েছে, অবিবাহিতদের হোটেল রুম দেওয়া হবে না। এবার অটোতেও ‘নো রোম্যান্স’ নিয়ম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অটোর প্যাসেঞ্জার সিটের সামনে ঝোলানো হয়েছে অটোয় চড়ার নিয়ম। সাফ লেখা রয়েছে, অটোয় কোনও রোম্যান্স করা যাবে না। যাত্রীদের সভ্য-ভদ্র ও সংযত আচরণ করতে হবে।

অটোয় পোস্টারে লেখা “ওয়ার্নিং! নো রোম্যান্স। এটা ক্যাব, ব্যক্তিগত জায়গা বা ওয়ো নয়, তাই দূরত্ব বজায় রাখুন এবং সংযত থাকুন। সম্মান দিন, সম্মান পান। ধন্যবাদ।”

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও অটো ও ক্যাবে যাত্রীদের আচরণ নিয়ে চালকদের এমন বিধি ঝোলাতে দেখা গিয়েছে। গত বছরই এক ক্যাব চালকের পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল, “অ্যাটিটিউড নিজের পকেটে রাখুন। আমাদের সেই ঔদ্ধত্য দেখাবেন না, কারণ এর জন্য অতিরিক্ত টাকা দেন না। দয়া করে ভাইয়া বলে ডাকবেন না।”

 শেখ হাসিনাকে যখন বিপাকে ফেলতে মরিয়া বাংলাদেশ, তখনই ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দেশে থাকার মেয়াদ বাড়াল। শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।


বোড়ে চালেই মাত! হাসিনার ভিসা বাতিল বাংলাদেশের, ভারত বাড়াল থাকার মেয়াদ
শেখ হাসিনা।


নয়া দিল্লি ও ঢাকা: হাসিনাকে ফেরত পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। জারি করেছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করল বাংলাদেশ সরকার। তবে পরিত্রাতা সেই ভারতই। শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল।


মঙ্গলবার বাংলাদেশের অভিবাসন এবং পাসপোর্ট দফতরের তরফে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আওয়ামি লীগের শাসনকালে বহু মানুষকে ‘গুম’ করা এবং জুলাই গণ-আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ২২ জন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, শেখ হাসিনাকে যখন বিপাকে ফেলতে মরিয়া বাংলাদেশ, তখনই ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দেশে থাকার মেয়াদ বাড়াল। শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।


প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনা সহ বাকি অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ভারতে এসে হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তাবও দিয়েছে। তবে সবই মৌখিক আবেদন।

শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরানোর জন্য লিখিত বার্তা আসেনি ওপার থেকে। বাংলাদেশের আবেদনের জবাব দিতে আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছে। এর জন্য কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। সেই কারণেই হাসিনার থাকার মেয়াদ বাড়ানো হল।

ঘটনাস্থল ত্রিপুরায় কালীশহর মাগুরোলি পঞ্চায়েত এলাকায় পানিসাগরের ৪৭ নম্বর পিলার। বিএসএফ সূত্রে খবর, সেখানেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ান। বিএসএফ সূত্রে খবর,বাংলাদেশি পাচারকারীরা গত কয়েকদিন ধরে ওই সীমান্তে এসে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছিল।


বর্ডারে কি উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি? আহত একাধিক BSF, বন্দুক নিয়ে পাল্টা জবাব জওয়ানদেরও
বিএসএফ জওয়ান


পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের গোপন পথ নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যে ব্ল্যাকস্পট নিয়ে তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টও। তবে শুধু এই রাজ্য নয়, বাংলাদেশ ঘেঁষা একাধিক রাজ্য়ের অনুপ্রবেশ নিয়েও চিন্তায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। তবে সদা সতর্ক জওয়ানরা। আর এরই মধ্যে ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমানায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত জওয়ানরা। এর থেকে অনুমান করা যায়, বর্ডারের পরিস্থিতি বেশ খানিকটা উত্তপ্ত।


ঘটনাস্থল ত্রিপুরায় কালীশহর মাগুরোলি পঞ্চায়েত এলাকায় পানিসাগরের ৪৭ নম্বর পিলার। বিএসএফ সূত্রে খবর, সেখানেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ান। বিএসএফ সূত্রে খবর,বাংলাদেশি পাচারকারীরা গত কয়েকদিন ধরে ওই সীমান্তে এসে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছিল। এরপর মঙ্গলবার বিএসএফ জওয়ানরা অনুপ্রবেশকারীদের পিএমজি বন্দুক নিয়ে তাড়া করছিলেন। তখনই একদল বাংলাদেশি দুষ্কৃতী বাঁশ-লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে দুই জওয়ানকে। পরে, একজন বিজিবি জওয়ান এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

উল্লেখ্য, পাচার রুখতে সদা তৎপর বিএসএফ। পাচারকারীদের হাত থেকে কখনও সোনা কখনও বা রূপো উদ্ধার করেছে তারা। তারপর বাংলাদেশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার মধ্যেই আরও সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা। তবে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কার্যত চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে