জন্ম বিদেশে হলেও এক হিন্দুসন্তান হিসাবেই বড় হয়ে উঠেছেন কাশ প্যাটেল। কাশ বলেন, "ভারতের সঙ্গে সবসময় খুব গভীর রয়েছে তাঁর।"


ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে ফের ভারত যোগ, FBI প্রধান হবেন গুজরাটি সন্তান! কে এই কাশ প্যাটেল?
FBI প্রধান হবেন কাশ প্যাটেল।

ওয়াশিংটন: আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে এবার আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করছেন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই-এর প্রধান হিসাবে তিনি বেছে নিয়েছেন কাশ্যপ বা কাশ প্যাটেলকে। এমনকি ট্রাম্প প্যাটলকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট ফাইটার’ বলেছেন।

কিন্তু কে এই কাশ প্যাটেল? ভারতের সঙ্গেই বা তিনি কী ভাবে যুক্ত?

কাশ্যপ প্যাটেল ১৯৮০ সালে নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। কাশের বাবা-মা দু’জনেই গুজরাটি। কাশ্যপ নিউইয়র্কে জন্মালেও তাঁর বড় হয়ে ওঠা পূর্ব আফ্রিকায়। লং আইল্যান্ডের গার্ডেন সিটি হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন কাশ। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ফ্যাকাল্টি অফ ল থেকে আন্তর্জাতিক আইনে শংসাপত্র রয়েছে তাঁর। নিউইয়র্কে ফিরে আসার আগে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন তিনি।

জন্ম বিদেশে হলেও এক হিন্দুসন্তান হিসাবেই বড় হয়ে উঠেছেন কাশ প্যাটেল। কাশ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সবসময় খুব গভীর রয়েছে তাঁর।”

রাজ্য এবং ফেডারেল আদালতে সরকারি কৌশুঁলি হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন কাশ্যপ। সেই সময় থেকেই খুন, মাদক পাচার, আর্থিক দুর্নীতির মতো নানা জটিল কেসে নিজের হাত পাকিয়েছেন তিনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত সচিব ক্রিস্টোফার মিলারের প্রাক্তন চিফ অফ স্টাফ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন প্যাটেল।

রাষ্ট্রপতির উপ-সহকারী এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে (এনএসসি) সন্ত্রাস দমনের (সিটি) সিনিয়র পরিচালক হিসাবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে কাশ প্যাটেলের। সেই সময়ে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয় বা কোন ধরনের কাজ পছন্দ করেন তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে প্যাটেলের। ট্রাম্পের ‘টপ প্রায়রিটির’ মধ্যে থাকে আইএসআইএস এবং আল-কায়েদার মত জঙ্গী সংগঠনকে নির্মুল করা।

কাশ প্যাটেলকে নিয়ে বিতর্ক –

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কাশ প্যাটেল। প্রাক্তন হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নুনেসের সহকারীর দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচার এবং রাশিয়ার মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে এফবিআই-এর তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ইমপেচমেন্ট ট্রায়ালের সময়, প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তা ফিওনা হিল অভিযোগ করেন, প্যাটেল অনুমোদন ছাড়াই গোপনে ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের মধ্যে চ্যানেল হিসাবে কাজ করছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন কাশ।

২০২১ সালে জানুয়ারিতে ট্রাম্পের বিদায়ের পড়ে প্যাটেলকে রাষ্ট্রপতির রেকর্ড অ্যাক্সেসের কাজে দেওয়া হয় ট্রাম্পকে। প্যাটেল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং হাউস পার্মানেন্ট সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্স (HPSCI)-এর সিনিয়র কাউন্সেল হিসেবেও দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours