মমতা বলছেন, “বর্ডার থেকে তো অনেকে চলে আসছেন আমি শুনছি। কিন্তু, বিএসএফ কোথাও আটকাচ্ছে কোথাও আটকাচ্ছে না। প্লেনে করেও তো লোকজন আসছে। ভিসা, পাসপোর্ট যাঁদের আছে তাঁরা আসছেন। কোনও বর্ডার বন্ধ করা হয়নি। তাই এটা ভারত সরকারের ব্যাপার। আমরা চাই ওরা হিন্দুদের রক্ষা করুক।”
ভারত সরকার হিন্দুদের রক্ষা করুক’, বলছেন মমতা, ‘CAA-র বিরোধিতা ভুল হয়েছে স্বীকার করুন’, খোঁচা বিজেপির
বিধানসভায় মমতা
‘এটা ভারত সরকারের ব্যাপার। আমরা চাই ওরা হিন্দুদের রক্ষা করুক। বিরোধী দল এখানে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছে। দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্ববান বিরোধী দলের পরিচয় দিচ্ছে।’ দিঘায় জগ্গনাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে করলেও তীব্র নিন্দা। সঙ্গে কেন্দ্রকে ‘দায়িত্ব’ মনে করিয়ে বললেন, “এটা ভারত সরকারের দেখার কথা। আমি তো শুনেছি ভিসা আরও বাড়ানো হয়েছে। যাতে ওখান থেকে বেশি লোক এখানে আসতে পারে। আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। যাঁরা আসতে চায় তাঁদের ফেরানো হোক। কিন্তু, এটা ভারত সরকারের ব্যাপার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যাপার নয়। এটা ওদের দায়িত্ব। বাংলাদেশ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা ভারত সরকারই নেবে।” যদিও মমতার মুখে এ কথা শুনেই ফের একবার সিএএ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
বিজেপির দাবি, সিএএ-র বিরোধিতা করা যে ভুল হয়েছে তা স্বীকার করুন মমতা। চাঁচাছোলা ভাষায় মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতার মুখে হিন্দু শব্দ শুনে দু’হাত ভরে হাততালি দিতে চাই। কিন্তু, আপনি বলেন তাহলে সিএএ জরুরি ছিল। ওপারের হিন্দুদের এপারে নিয়ে চলে আসার কথা বলছেন। আনতে পারা যাচ্ছে না তো আপনার জন্য।”
আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “আপনি বলেছেন সিএএ মানব না। কেন্দ্র তো রেডি। আপনি বলেছেন নাগরিকত্ব আইন মানব না। কিন্তু, আমরা তো ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হিন্দুদের এদিকে নিয়ে এসে নাগরিকত্ব দিতে চাই। সেই জন্য আইন করা হয়েছে। কিন্তু, তার বিরোধিতা কে করেছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ বলতে হবে সিএএ-র বিরোধিতা করা অন্যায় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই ঢাকায় গিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন বিদেশ সচিব। রোজই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যাচ্ছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে।
যদিও মমতা বলছেন, “বর্ডার থেকে তো অনেকে চলে আসছেন আমি শুনছি। কিন্তু, বিএসএফ কোথাও আটকাচ্ছে কোথাও আটকাচ্ছে না। প্লেনে করেও তো লোকজন আসছে। ভিসা, পাসপোর্ট যাঁদের আছে তাঁরা আসছেন। কোনও বর্ডার বন্ধ করা হয়নি। তাই এটা ভারত সরকারের ব্যাপার। আমরা চাই ওরা হিন্দুদের রক্ষা করুক। বিরোধী দল এখানে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours