পুলিশ জানতে পারে, মাধবডিহি থানার উচালনের তাপসী মাঝির সঙ্গে ১৬ বছর আগে খোকনের বিয়ে হয়। খোকন পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তাঁর দু’টি মেয়ে রয়েছে। বালিখাদের ম্যানেজার বাপ্পার সঙ্গে খোকনের বন্ধুত্ব ছিল।
কবজির উল্কিতে লেখা 'তাপসী'! এই নাম শোনামাত্রই ম্যানেজারকে যাবজ্জীবন দিলেন বিচারক, কেন?
ফাঁসির সাজা দিল আদালত
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। আর তাতে বাধা পেয়ে প্রেমিকার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন। সেই দায়ে বাপ্পাদিত্য পান নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান আদালত। এছাড়াও ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা। অনাদয়ে ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বর্ধমানের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক দেবাঞ্জন ঘোষ শুক্রবার এই সাজা ঘোষণা করেছেন।
ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণ না মেলায় মৃতের স্ত্রীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছেন বিচারক। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী। বাপ্পাদিত্যের বাড়ি হুগলির গোঘাট থানার বেলুন গ্রামে।
সরকারি আইনজীবি উদয় কোনার জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর সকালে মাধবডিহি থানার নন্দনপুর ঢালে নয়নজুলির পাশ থেকে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের ডান হাতের কব্জির উপরে উল্কিতে তাপসী লেখা ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দেহটি গোঘাট থানা এলাকার পানপাতা গ্রামের বাসিন্দা বছর ছত্রিশের খোকন মাঝির।
পুলিশ জানতে পারে, মাধবডিহি থানার উচালনের তাপসী মাঝির সঙ্গে ১৬ বছর আগে খোকনের বিয়ে হয়। খোকন পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তাঁর দু’টি মেয়ে রয়েছে। বালিখাদের ম্যানেজার বাপ্পার সঙ্গে খোকনের বন্ধুত্ব ছিল। খোকনের বাড়িতে বাপ্পাদিত্যের যাতায়াত ছিল। আর সেভাবেই খোকনের স্ত্রী তাপসীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িতে পড়েছিলেন বাপ্পাদিত্য।
এনিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতে থাকে। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন দুই বন্ধু বসে মদ খাচ্ছিল। সে সময় খোকনের সঙ্গে বাপ্পার তীব্র বচসা হয়। বাপ্পা তাঁকে মারধর করে তারপর গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহটি বস্তাবন্দি করে সাইকেলে চাপিয়ে নন্দনপুর ঢালে নয়নজুলির পাশে ফেলে রেখে যায় বাপ্পা। গামছা এবং তার সাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এতদিন তাপসী ও বাপ্পা এতদিন জেলেই ছিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours