অস্ট্রেলিয়ার পেস বাউন্সি উইকেটে অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ঠিক পজিশনে না থাকলে ড্রাইভ কঠিন। উইকেটের পিছনে ক্যাচের সম্ভাবনা বেশি। বিরাটের ক্ষেত্রেও যেন তেমনইটাই হচ্ছে।
ধন্যি ছেলের অধ্যাবসায়..., হর্ষিত রানা-প্রসিধ কৃষ্ণর ক্লান্তি বাড়ালেন বিরাট কোহলি!
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স বরাবরই ভালো। এ বারও একটা সেঞ্চুরি রয়েছে। কিন্তু বাকি ইনিংসগুলিতে হতাশা। আরও বড় অস্বস্তির কারণ অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে আউট হওয়া। ভারতের মাটিতে সেই ডেলিভারিতেই হয়তো দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ খেলতে পারতেন বিরাট কোহলি! কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পেস বাউন্সি উইকেটে অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ঠিক পজিশনে না থাকলে ড্রাইভ কঠিন। উইকেটের পিছনে ক্যাচের সম্ভাবনা বেশি। বিরাটের ক্ষেত্রেও যেন তেমনইটাই হচ্ছে। এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন বিরাট কোহলিও। ঠিক যেন সচিন তেন্ডুলকরের মন্ত্রেই এগচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে এমন সমস্যায় পড়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরও। কয়েক ইনিংস একই ভাবে আউট হওয়ায় নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, কভার ড্রাইভ কিংবা অফ ড্রাইভ খেলবেন না। অজি বোলাররা তাঁর ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন, তিনিও প্রস্তুত। অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা দেখিয়ে ২৪১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। মেলবোর্নে বিরাট কোহলিও কি এমন কিছু করে দেখাবেন?
ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে আউট হওয়ার পরই যেন মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। ভারতের ইনিংস চলাকালীন বিরাট কোহলি নেমে পড়েছিলেন গাব্বার নেটে। প্রসিধ কৃষ্ণ এবং হর্ষিত রানাকে দিয়ে লাগাতার অফস্টাম্পের বাইরে বোলিং করিয়ে যান। বল খেলার চেয়ে ছাড়ায় জোর দিচ্ছিলেন। গাব্বায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হলে হয়তো ম্যাচেও সেটা দেখা যেত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours