স্থানীয় সূত্রে খবর, কাছেই একটি দোকান রয়েছে ওই পরিবারের। সেখানেই ছিলেন টুসি দাস নামে ওই গৃহবধূর স্বামী। ঘটনার কিছু সময় আগে তিনিও সেখানেই গিয়েছিলেন। ফেরার সময় দেখেন বাড়ির গেট একেবারে হাট করে খোলা। যা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর।
ভিতরে চুরি করতে ব্যস্ত চোর, বাইরে তালা দিয়ে দিল গৃহবধূ, খবর পেয়েই ঠাকুরপুকুর থেকে চলে এল পুলিশ
আতঙ্কের আবহ এলাকায়
চুরি করতে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না চোরের। বামাল ধরা পড়ে গেল চোর। বেশি পরিশ্রম করতে হল না পুলিশকেও। ভাবছেন নিশ্চয়, সোর্স কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করেছে পুলিশ! নাহ! চুরি করতে এসে গৃহবধূর বুদ্ধির জোরে যে বাড়িতে চুরি করতে এসেছিল সেই বাড়িতেই আটকা পড়ে গেল চোর। এল পুলিশ। একেবারে হাতে না ধরে নিয়ে গেল থানায়। এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে বেহালার সখের বাজারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাছেই একটি দোকান রয়েছে ওই পরিবারের। সেখানেই ছিলেন টুসি দাস নামে ওই গৃহবধূর স্বামী। ঘটনার কিছু সময় আগে তিনিও সেখানেই গিয়েছিলেন। ফেরার সময় দেখেন বাড়ির গেট একেবারে হাট করে খোলা। যা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে দোকান থেকে স্বামীকে ডেকে আনেন। এসেই দেখেন বাড়ির ভিতরে তখন গয়না, টাকা পয়সা হাতাতে ব্যস্ত চোর। বাইরে যে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই তাঁর। ততক্ষণে বুদ্ধি খাটিয়ে ওই গৃহবধূ বাড়ির বাইরে তালা লাগিয়ে দেন। চোর চোর চিৎকারও শুরু করে দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পালানোর চেষ্টাও করে চোর। ততক্ষণে জল হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। বাড়ির সামনে জমেছে কৌতূহলী জনতার ভিড়। খবর চলে গিয়েছে ঠাকুরপুকুর থানায়।
ঘটনার কথা বলতে গিয়ে গৃহবধূ টুসি দাস বলছেন, “বাড়িতে তখন ছিলাম না। সেই সুযোগেই চোরটা বাড়িতে ঢুকেছিল। বাড়ির সামনে এসে দেখি গেটটা পুরো খোলা রয়েছে। ঘটনা দেখেই আমি কাছেই আমাদের দোকানে যাই। ওখানে আমার স্বামী ছিল। ওকে ডেকে আনি। আমরা দু’জনে যখন আসি দেখি আমাদের ঘরে একজন ঢুকেছে। দেখা মাত্রই বাইরে থেকে তালা দিয়ে দিই। চোর চোর বলে দুজনেই চেঁচাতে শুরু করি। তা শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।” ইতিমধ্যেই ওই চোরকে ধরেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। একইসঙ্গে যে জিনিসপত্র সে হাতানোর চেষ্টা করেছিল সে সেগুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের পরিবেশ সখের বাজারে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours