পেট্রোপোল আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে সনাতনীদের প্রতিবাদ সভায় সুর চড়ান শুভেন্দু। প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, "এক দিনের মধ্যে হালুয়া টাইট করে দিয়েছি..." মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টা তুলে ধরতে চেয়েছেন।
এক দিনে হালুয়া টাইট করে দিয়েছি, আর ৭টা দিন করলেই...', কীভাবে বাংলাদেশকে 'টাইট' দিলেন শুভেন্দু?
রানি রাসমনিতে শুভেন্দু অধিকারী
বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্তমুক্তির দাবি এবং সেই দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদ। ওপার বাংলা অশান্ত। এপারেও প্রতিবাদ জিইয়ে রয়েছে এখনও। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে বিক্ষোভ অরাজনৈতিক ব্যানারে। পোশাকি নাম সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। পেট্রোপোল আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে সনাতনীদের প্রতিবাদ সভায় সুর চড়ান শুভেন্দু। “এক দিনের মধ্যে ওদের হালুয়া টাইট করে দিয়েছি…” বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু কীভাবে? মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টা তুলে ধরেই একথা বলেছেন শুভেন্দু।
বাংলাদেশ ভারতের ওপর কোন কোন ক্ষেত্রে নির্ভরশীল, সে তথ্য তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, “বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য হয় মাত্র ১১.২৫ বিলিয়ন। দশের পরে রয়েছেন আপনারা। আমাদের অর্থনীতি আপনাদের ওপর নির্ভর করে না। আর আমরা কটন পাঠাই, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, শাক সবজি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ সব মিলিয়ে ৯৭টা জিনিসের ওপর নির্ভরশীল আপনারা। নৌকো, লঞ্চের যন্ত্রও ভারত দেয়।”
বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “একদিনে পেট্রোপোল বন্ধ করেছিলাম। ৪০ গাড়ি পেঁয়াজ গিয়েছে পচে। এক দিনে হালুয়া টাইট করে দিয়েছি। এক্সপোর্টার, ইমপোর্টাররা সবাই হিন্দু। ওরা আমাকে বলছে, দাদা সাতটা আটকে দিতে পারলে না, এদের কী অবস্থা কী হবে দেখবে!” প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে গত সোমবার সীমান্ত বন্ধ করেন সনাতনীরা। সেই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন শুভেন্দু। আর তার ফল যে ব্যাপক হয়েছে, সেটাই বোঝালেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা আরও একটু ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ২০ জানুয়ারি ২০২৫-এর পর বিশ্ব সমাজ বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে আসবে।”
প্রসঙ্গত, বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দেশে ফিরছেন অনেকে। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে, অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে বলছেন, সেদেশের যা পরিস্থিতি হিন্দুদের, তাতে এখান থেকে সব পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হোক। সেই প্রতিবাদের সুরই যেন এদিন শোনা গেল শুভেন্দুর গলায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours