পুরীর ধ্বজার মতো দিঘাতেও ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকছে বলেও জানান মমতা। এমনকী মহাসমারোহে হবে রথযাত্রাও। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে ট্রাস্টি তৈরি হয়েছে তাতে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য থাকছে বলেও জানান মমতা।


পুরীকে ‘টেক্কা’! ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির
দিঘায় মমতা


তিনদিনের দিঘা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কতদূর এগিয়েছে, কতটা বাকি তা খতিয়েও দেখেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন উদ্বোধনের সময়। ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। বললেন, “আশা করি আর তিন মাসের মধ‍্যে তৈরি হযে যাবে। মার্বেলের মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কাঠেরটা বাকি আছে।” এমনকী মন্দির তৈরিতে মোট কত টাকার কাজ হয়েছে, কীভাবে গোটা মন্দির প্রাঙ্গন সাজানো হচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে মিল থাকবে পুরীর সঙ্গে, এদিন সে সব কিছুরই হিসাব দেন মমতা। 


সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই মমতা বলেন, “এখনও পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও কিছু খরচ করতে হবে। একটি ট্রাস্টি তৈরি করা হয়েছে মুখ‍্যসচিবের নেতৃত্বে।” এমনকী তাঁর মাথায় মন্দির তৈরির পরিকল্পনা কোথা থেকে এল এদিন সেই গল্প শোনা যায় মমতার মুখে। খানিক স্মৃতির পাতায় হাঁটতে হাঁটতে বলেন, “বছর কয়েক আগে দিঘায় ঘুরতে ঘুরতে সিদ্ধান্ত নিই সমুদ্র সৈকতে একটি মন্দির করব। পুরীর মন্দিরের মতোই উচ্চতা করব ঠিক করি। আজ তিন- চার বছর সময় লেগেছে এত সুন্দর মন্দির তৈরি হয়েছে। আমরা তুলনা করব না। তবে এখানে জায়গাটা বেশি। সব আলাদা আলাদা ঘর থাকছে। এখানে পুরীর খাজার মত বাংলার গজা, গুঁজিয়া থাকবে।” 

পুরীর ধ্বজার মতো দিঘাতেও ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকছে বলেও জানান মমতা। এমনকী মহাসমারোহে হবে রথযাত্রাও। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে ট্রাস্টি তৈরি হয়েছে তাতে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য থাকছে বলেও জানান মমতা। তবে তিনি নিজে সদস্য হিসাবে নয়, ভলান্টিয়ার হিসাবে থাকছেন বলে জানান। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours