কিন্তু ট্রুডোই বা কী করবেন? তাঁর তো আর ভারতকে এই নিয়ে কিছু বলার মতো মুখ নেই। অথচ খালিস্তানিরা তাঁর ভোটব্যাঙ্ক। তাই চটানোও যাবে না।
'ওপরচালাকি' করতে গিয়েছিলেন ট্রুডো, একেবারে হাটে-হাঁড়ি ভেঙে দিল সে দেশেরই মিডিয়া
কানাডার রাগ হয়েছে। কিছুটা অভিমানও হয়েছে হয়ত। পুরনো ইস্যু নয়, এটা একেবারেই নতুন ব্যাপার। খালিস্তান ইস্যুতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক এখন তলানিতে। দুই দেশই নিজেদের দূতাবাস থেকে একাধিক কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, খালিস্তানিদের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক থাকলে কানাডিয়ানদের ভারতের ভিসা দেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দেশে খালিস্তানপন্থীরা বেজায় ক্ষুব্ধ। একেবারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর কাছে নালিশ ঠুকে দিয়েছে তারা।
নালিশে তারা জানাচ্ছে, ‘ভারত আমাদের ভিসা দিচ্ছে না। আপনারা একটু দেখুন। ভিসা না পেলে তো আমাদের ভারতে যাওয়াই সম্ভব হচ্ছে না।’ হক কথা! ভিসা না পেলে ওরা আসবেই বা কী করে! আর ভারতে অশান্তি পাকানোর কাজটাই বা হবে কী করে? তাই জাস্টিন ট্রুডোর দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কিন্তু ট্রুডোই বা কী করবেন? তাঁর তো আর ভারতকে এই নিয়ে কিছু বলার মতো মুখ নেই। অথচ খালিস্তানিরা তাঁর ভোটব্যাঙ্ক। তাই চটানোও যাবে না। তাই ট্রুডো যেটা করতে গেলেন সেটাকে চলতি বাংলায় বলে, ‘ওপরচালাকি’। তিনি এক মানবাধিকার সংগঠনকে দিয়ে আবেদন করালেন, কানাডিয়ান-ইন্ডিয়ানরা ভিসা না পাওয়ায় ভারতে ওদের আত্মীয়দের কাছে যেতে পারছেন না। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারত এই আবেদন পাওয়ার পর কী করত জানি না। কিন্তু কানাডার এক সংবাদপত্র ট্রুডোর প্ল্যানে জল ঢেলে দিল। কানাডিয়ান মিডিয়া ‘হাউস গ্লোবাল নিউজে’র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারত যাদের ভিসা-র আবেদন বাতিল করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে খালিস্তানি সংগঠনের যোগাযোগ আছে। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অধিকার ভারতের আছে। এই নিয়ে কানাডা বা ট্রুডোর কোনও এক্তিয়ার নেই। থাকতে পারে না। কার্যত কানাডারই এক সংবাদপত্র ট্রুডো ও খালিস্তানিদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। নাহলে এই নিয়েও ভারতের বিরুদ্ধে বাজার গরম করতে নেমে পড়ত কানাডা। এই দেশটা পশ্চিমী দুনিয়ার দেশ হলেও একেবারে অন্যরকম। বরাবর সন্ত্রাসের সঙ্গে কানাডার নাড়ির টান।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours