উদ্ধার করা হয়েছে হাতে তৈরি রাইফেল, ৩৪ রাউন্ড গুলি, ২৪ রাউন্ড কার্তুজ, হাতে তৈরি গ্রেনেড, সার্কিট ডিটোনেটর, এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সহ আরও অনেক কিছু।
কার্তুজ, গ্রেনেড, রাইফেল নিয়ে বাংলার পাশেই ডেরায় বাস! বিস্ফোরণের বড়সড় প্ল্যান? আবার 'জঙ্গি' ধরল পুলিশ
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র
বাংলাদেশের অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদ থেকে সম্প্রতি জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। কেরল থেকেও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এরা সবাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। আর এবার বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ফের একই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বুধবার অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দুজনকে গ্রেফতার করেছে। অসমের কোকরাঝাড় জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। একজনের নাম আব্দুল জাহির শেখ ও অপরজন হলেন সাব্বির মৃধা। সম্প্রতি আনসারুল্লা বাংলা টিমের একাধিক সদস্যকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করেই এই দুজনের নাম উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। সম্প্রতি মোট ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল ডিরেক্টর-জেনারে হরমীত সিং জানিয়েছেন, বড় কোনও নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল, যা বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল অস্ত্র, গোলা-বারুদ। এমনকী যুদ্ধের সরঞ্জাম ছিল বলেও উল্লেখ করেছে পুলিশ।
উদ্ধার করা হয়েছে হাতে তৈরি রাইফেল, ৩৪ রাউন্ড গুলি, ২৪ রাউন্ড কার্তুজ, হাতে তৈরি গ্রেনেড, সার্কিট ডিটোনেটর, এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সহ আরও অনেক কিছু। নানা রকমের তার ও সুইচও রাখা ছিল ওই ডেরায়, যা বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারত।
পুলিশকর্তা স্পষ্ট দাবি করেছেন, অস্ত্র দেখেই মনে হচ্ছে, বড়সড় কোনও ঘটনা ঘটানোর কথা ভাবছিল ওই সংগঠনের জঙ্গিরা। গোটা পূর্ব ভারত জুড়ে এভাবেই স্লিপার সেল চলছে বলেও মনে করছে পুলিশ। অসম পুলিশ মনে করছে, শেখ হাসিনা সরকার পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই সব সংগঠনগুলি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours