বালি চুরি রুখতে এর আগেও একাধিকবার সতর্ক করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও বিভিন্ন জেলা থেকে বালি চুরির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। তা রুখতেই সম্প্রতি মুখ্যসচিব সব জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বালি চুরি রুখতে এবার ডাকা হবে টেন্ডার! মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই নয়া সিদ্ধান্ত নবান্নের
বালি চুরি রুখতে নয়া পদক্ষেপ
বালিচুরি রুখতে আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারি। এবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চলেছে নবান্ন। সব জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি। নদী থেকে কীভাবে বালি তোলা হবে, সে ব্যাপারে কথা হয়। বড় নদীর ক্ষেত্রে মাইনিং কমিশনের সাহায্যে টেন্ডার ডাকা হবে। সেই টেন্ডারের মাধ্যমেই বালি বিক্রি করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের ফলে উঠে আসা সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলেও খবর সুত্রের।
বালি চুরি রুখতে এর আগেও একাধিকবার সতর্ক করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও বিভিন্ন জেলা থেকে বালি চুরির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। তা রুখতেই সম্প্রতি মুখ্যসচিব সব জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দামোদর, অজয়ের বড় নদ-নদীর ক্ষেত্রে মাইনিং কমিশনের মাধ্যমে ছোট ছোট ব্লক করে টেন্ডার ডাকা হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে বালি বিক্রি হবে। ছোট নদীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
নদীর গতিপথ যাতে আটকে না থাকে, সেটা মাথায় রেখেই বালি বিক্রি করা হবে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহে নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়েকজন কর্মী, যাঁরা সরকারকে ভালবাসেন না, পুলিশেরও কিছু লোক টাকা খেয়ে বালি চুরি, কয়লা, সিমেন্ট চুরি করছে। তারপর বলা হচ্ছে তৃণমূল চুরি করছে। কিন্তু চুরি করছে সিআইএসএফ ও পুলিশের একাংশ। আমি এটা মানব না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পরই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours