অনেকক্ষণ সহ্য করার পর যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তখনই বাধ্য হয়ে বাসের কনডাক্টর গাড়ি থামিয়ে দেখা শুরু করেন গন্ধের উৎস কী?
প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল বাসে, বিরক্ত হয়ে যাত্রীরা গাড়ি থামান! ধরা পড়েন এই মহিলাই! গন্ধের উৎস কী?
গ্রেফতার কচ্ছপ পাচারকারী
দক্ষিণ দিনাজপুর: শুরু থেকেই বাসের মধ্যে ভোটকা গন্ধ বের হচ্ছিল। অনেকক্ষণ সহ্য করার পর যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তখনই বাধ্য হয়ে বাসের কনডাক্টর গাড়ি থামিয়ে দেখা শুরু করেন গন্ধের উৎস কী? আর যা দেখেন, তাতে তো রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ! দেখা যায়, বাসের নির্দিষ্ট একটি বস্তার ব্যাগ থেকেই গন্ধ বেরোচ্ছে। কিন্তু সে ব্যাগে তো মাছ নেই, তাহলে কী?
পাচারের আগেই বেসরকারি বাস থেকে উদ্ধার হল শতাধিক কচ্ছপ। রবিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাটগামী একটি বেসরকারি বাস থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার কচ্ছপগুলি। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার জোড়দিঘি এলাকা থেকে কচ্ছপগুলি উদ্ধার করে বন দফতর ও বংশীহারী থানার পুলিশ। ঘটনায় তিনজনকে ধরেছে বন দফতরের কর্মীরা। ধৃতদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ এলাকায়। পরে তাদের বংশীহারী থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে কচ্ছপ গুলি কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে কুশমণ্ডি বন দফতরের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, মোট চারটি ব্যাগে ১০৩ টি কচ্ছপ উদ্ধার করে কুশমণ্ডি বনদফতর ও পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের সুলতানগঞ্জ থেকে কচ্ছপগুলি আনা হচ্ছিল। ধৃতদেত মধ্যে একজন পুরুষ সহ দুজন মহিলা রয়েছে। তারা ডালখোলা থেকে গঙ্গারামপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। বংশীহারী থানার জোরদিঘি এলাকায় বাসের ভেতরে দুর্গন্ধ পেতেই সন্দেহ হয় অন্য যাত্রীদের। এরপরই তাদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় কচ্ছপ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিশ। যায় কুশমণ্ডি বন দফতরের কর্মীরা। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলির বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা। পরে বনদফতর পাচারকারী তিনজনকে গঙ্গারামপুর মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ ও কুশমণ্ডি বন দফতরের কর্মীরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours