বস্তুত, ঢাকা থেকে ভারত সীমান্তের দিকে লংমার্চ করছে বিএনপির তিন সংগঠন। ব্রাহ্মণবেড়িয়ার আখাউড়ায় ভাকত সীমান্ত অর্থাৎ ত্রিপরা দিকে লংমার্চ। এই লংমার্চে থাকছে বিএনপির তিন সংগঠন। যুব-ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক।



 
দ্রুত গতিতে ছুটছে ভারতীয় জওয়ানদের গাড়ি। কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা? এই প্রশ্নই যখন মাথাচাড়া দিচ্ছে, এলাকার বাসিন্দারা তখন জানালেন গাড়িগুলি রওনা দিয়েছে সীমান্তের দিকে। আসলে বিএনপির তরফে ডাক দেওয়া হয়েছে লং-মার্চের। আগরতলা সীমান্তে সেই মতো এগোচ্ছে বাংলাদেশি লোকজন। কোনও রকম উত্তেজনা এড়াতে তৎপর ভারতীয় সেনা। একের পর এক সেনাবাহিনীর গাড়ি সারি দিয়ে যাচ্ছে সেভেন সিস্টারের (অসম,ত্রিপুরা, মণিপুর,মেঘালয়, নাগাল্যান্ড,অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম) পথে।

বস্তুত, ঢাকা থেকে ভারত সীমান্তের দিকে লংমার্চ করছে বিএনপির (বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি) তিন সংগঠন। ব্রাহ্মণবেড়িয়ার আখাউড়ায় ভাকত সীমান্ত অর্থাৎ ত্রিপরা দিকে লংমার্চ। এই লংমার্চে থাকছে বিএনপির তিন সংগঠন। যুব-ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক। তবে কর্মসূচিতে সরাসরি নেই বিএনপির মূল সংগঠন। নারায়ণগঞ্জ নরসিংদি হয়ে সন্ধে নাগাদ আখাউড়ায় পৌঁছবে লংমার্চটি। যে কোনও ধরনের উত্তেজনা এড়াতে তার আগে তৈরি হচ্ছে ভারতীয় সেনাও।

জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের তরফে ভারত বিরোধী একাধিক বিবৃতি জারি করার পরই একের পর এক সেনাবাহিনীর গাড়ি যাচ্ছে সেখানে। যা নিয়ে গুঞ্জন সাধারণ মানুষের মধ্যে। ধূপগুড়ির বাদিন্দা মজিবুল আলম বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ভারত বিরোধী বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি। তার মধ্যেই গত দুদিন ধরে লাইন দিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি অসমের দিকে যাচ্ছে। যা দেখে তো মনে হচ্ছে যুদ্ধ লেগে যাবে। আমরাও দারুণ দুশ্চিন্তায়। যদি যুদ্ধ লাগে কী হবে।” আরও এক বাসিন্দা বাপ্পা বসাক বলেন, “বাংলাদেশিরা হুমকি দিচ্ছে কলকাতা দখল নেবে। কখনো বলছে সেভেন সিস্টার দখল করবে ।লংমার্চ শুরু করেছে ওরা। ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে বলে শুনেছি। বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। সেই কারণেই হয়ত সেনাবাহিনীর গাড়ি যুদ্ধ সামগ্রী নিয়ে আসামের দিকে যাচ্ছে ধূপগুড়ি হয়ে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours