তৃণমূল সাংসদ বলেন, "উনি সিনিয়র। তিনি সাতবারের সাংসদ। চারবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনবারের মুখ্য়মন্ত্রী। তাই সব থেকে প্রবীণ তো উনিই। আমার মনে হয় এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হওয়া উচিত। তৃণমূল এমন একটা দল যে বিজেপি আৎ কংগ্রেস উভয়কেই হারিয়েছে। তৃণমূলের স্ট্রাইকরেট দেখুন আর বাকি দলগুলির স্ট্রাইকরেট দেখুন। তৃণমূলই একমাত্র দল যেখানে বিজেপির থেকে লোক আসে।"

 'BJP-কেও হারিয়েছি, কংগ্রেসকেও হারিয়েছি' স্ট্রাইকরেট দেখিয়ে ইন্ডিয়া জোটে মমতার ওজন বোঝালেন অভিষেক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের মুখ করার জন্য সওয়াল করলেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে প্রবীণ। এই নিয়ে জোটে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া উচিত। এর আগে মমতাকে জোটের মুখ করতে চেয়ে সওয়াল করেছিলেন এনসিপির শরদ পাওয়ার, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদরা। আর এবার দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ মমতাকে ইন্ডিয়া জোটের মুখ করার পক্ষে সওয়াল করলেন।


অভিষেক ঠিক কী বলেছেন?

তৃণমূল সাংসদ বলেন, “উনি সিনিয়র। তিনি সাতবারের সাংসদ। চারবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনবারের মুখ্য়মন্ত্রী। তাই সব থেকে প্রবীণ তো উনিই। আমার মনে হয় এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হওয়া উচিত। তৃণমূল এমন একটা দল যে বিজেপি আৎ কংগ্রেস উভয়কেই হারিয়েছে। তৃণমূলের স্ট্রাইকরেট দেখুন আর বাকি দলগুলির স্ট্রাইকরেট দেখুন। তৃণমূলই একমাত্র দল যেখানে বিজেপির থেকে লোক আসে।”


বস্তুত, এ দিন অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে অন্য়ান্যদের তুলনায় ঠিক কোন জায়গায় যোগ্য। প্রথমত, মমতা জাতীয় রাজনীতির পরিচিত মুখ। তিনি সাতবারের যেমন সাংসদ, তেমনই চারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তৃণমূল সাংসদ সেই কারণেই বোঝাতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নিয়ে সেই কারণে প্রশ্ন থাকতেই পারে না। একই সঙ্গে বিজেপি বিরোধিতায় কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর সুনির্দিষ্ট সমীকরণও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের একমাত্র দল যাঁরা শুধু বিজেপি-কে হারায়নি। বরং বাম-কংগ্রেস জোটকে হারিয়েছে। অন্যদিকে আম আদমী পার্টি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। সমাজবাদী পার্টিকে শুধুমাত্র বিজেপি-কেই হারাতে হয়েছে। বিএসপি কার্যত নিশ্চিহ্ন। কিন্তু বামেদের বেশ কয়েকটি জায়গায় বেশ শক্তি ছিল। শুধু তাই নয়, এ রাজ্যে বহরমপুর, মালদহের মতো জায়গায় কংগ্রেসও শক্তিশালী ছিল। সেই সমস্ত জায়গা তৃণমূল নিজের জয়ধ্বজা উড়িয়েছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া উচিত।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours