সম্প্রতিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় জ্যোমাটোর এক ডেলিভারি এজেন্টের ছবি। জানা যায়, তিনি আদতে স্কুলের শিক্ষক। তবে পেটের টানে স্কুল শেষ করেই খাবার ডেলিভারির কাজে বেরিয়ে পড়েন তিনি।


স্কুলের ঘণ্টা বাজলেই গলিয়ে নেন Zomato-র টি-শার্ট, সরকারি শিক্ষকের দিন-রাতের পরিশ্রম জল আনবে চোখে


দিনে শিক্ষক, রাতে ডেলিভারি এজেন্ট অমিত কুমার।



সরকারি চাকরি পেয়েছে ছেলে। আনন্দে আত্মহারা পরিবার। ভেবেছিলেন, এবার আর আর্থিক কষ্ট থাকবে না। দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের চিন্তা অন্তত থাকবে না। সালটা ছিল ২০২২। কাট টু ২০২৪। স্কুলে পড়াচ্ছেন ঠিকই, তবে সেই আয়ে সংসার চলে না। পেট ভরাতে তাই সকালে স্কুলে পড়িয়ে, বিকেল থেকেই অনলাইন অ্যাপে খাবার ডেলিভারি শুরু করেন। সারাদিন এভাবেই ছুটে চলেছেন অমিত কুমার। কিন্তু একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষককে কেন সংসার চালাতে ডেলিভারি পার্টনারের কাজ করতে হচ্ছে?

সম্প্রতিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় জ্যোমাটোর এক ডেলিভারি এজেন্টের ছবি। জানা যায়, তিনি আদতে স্কুলের শিক্ষক। তবে পেটের টানে স্কুল শেষ করেই খাবার ডেলিভারির কাজে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুরের। একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াতেন অমিত কুমার। কিন্তু করোনাকালে তাঁর চাকরি চলে যায়। দীর্ঘ আড়াই বছর বেকার থাকার পর সরকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করেন ২০২২ সালে। শারীরশিক্ষা বা ফিজিক্যাল এডুকেশন শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান। কিন্তু চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে তাঁকে নেওয়া সম্ভব নয়। চাইলে পার্শ্ব-শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দিতে পারেন।



পেটের দায়ে সেই অফারই গ্রহণ করেন অমিত। স্কুলের বাকি শিক্ষকদের বেতন যেখানে ৪২ হাজার টাকা, সেখানেই মাত্র ৮ হাজার টাকার বেতনে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্ত এই টাকায় তো সংসার চলে না। তার মধ্যে এই বছর চার মাস বেতনও পাননি অমিত সহ স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষকরা। এদিকে, মাথায় ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে।

একদিন অমিতের স্ত্রী পরামর্শ দেন ফুড ডেলিভারির। অমিত খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন যে ডেলিভারির কাজে নির্দিষ্ট সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জ্যোমাটোয় রেজিস্টার করেন। বর্তমানে অমিত স্কুলে পড়ানো শেষ করে, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খাবার ডেলিভারি করেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours